পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বন্ধন অটুট রাখতে ভ্যালেন্টাইন’স দিবসে ফুল হাতে রাস্তায় নেমেছে চট্টগ্রামের পুলিশ।
রোববার সকাল থেকেই সাধারণ জনগণ, সেবাপ্রার্থী ও দর্শনার্থীদের হাতে ‘ভালোবাসার ফুল’ তুলে দেন পুলিশ সদস্যরা। নগরীর ষোলটি থানা, আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এবং মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে তারা মানুষের হাতে এসব ফুল তুলে দেন।
চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল বলেন, “আমরা সকলেই মানুষ। তারপরও পুলিশকে মানুষ থেকে আলাদা ভাবা হয়। পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বন্ধন অটুট রাখতেই সকলকে ভালোবাসা দিবসে ফুল দেওয়া হচ্ছে।’’
চট্টগ্রামের কোতয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, “থানায় আসা সকলকেই আমরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভালোবাসা দিবসে সেবাপ্রার্থীদের ফুল দেওয়ার মাধ্যমে পুলিশ সম্পর্কে তাদের ‘অন্যরকম ধারণা’ দূর হবে আশা করছি।”
আকবর শাহ থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ এবং বায়েজিদ থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানিয়েছেন, থানা, চেকপোস্ট ও টহল চলাকালে কনস্টেবল থেকে শুরু করে সব কর্মকর্তাই সাধারণ মানুষকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
নগরীর অন্যান্য থানা এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়েও পুলিশের ভালোবাসার এই ফুল যাচ্ছে পথচারীদের হাতে হাতে।
সকালে বায়েজিদ থানায় কাজে গিয়ে পুলিশের ফুল পেয়েছেন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম। তিনি বলেন, “নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। এটা আমার ভালো লেগেছে।”
পুলিশের সঙ্গে সাধারণ নাগরিকদের দূরত্বের বিষয়টি সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেশি মাত্রায় অনুভূত হচ্ছে পুলিশি নির্যাতন ও নিপীড়নের কয়েকটি ঘটনার পর।
ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিদর্শক (পরিষ্কারও পরিচ্ছন্ন) বিকাশ চন্দ্র সাহাকে মারধর, মোহাম্মদপুরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীর উপর পুলিশি নির্যাতন এবং এক যুবদল নেতার স্ত্রীকে তল্লাশির নামে হয়রানিসহ কয়েকটি ঘটনার পর সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকেও জড়িতদের শাস্তির সুপারিশ করা হয়।
এসব ঘটনায় মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি ‘ভয়’ কাজ করছে মন্তব্য করে বাহিনী প্রধান এ কে এম শহীদুল হক পুলিশ কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে বলেছেন, সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে না পারলে তাদের মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হবে।