ফুলছডড়ি বনবিটের এক এফজি বদলি আদেশের ছয় মাসপরও বিধি বহির্ভূতভাবে একই কর্মস্থলে থেকে যাওয়ার গুরতর অভিযোগ উঠেছে। উক্ত এফজির যোগসাজসে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা নানা দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বিভিন্ন সুত্র জানায়, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের ফুলছডি বিটের বনাঞ্চল ধ্বংসের হোতা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া দূণীতিবাজ এফজি আবদু সত্তারের বদলি আদেশ হয় বিগত ছয় মাস পূর্বে। তারপরও এফজি ছত্তার নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করে বিধি বহির্ভূতভাবে একই কর্মস্থলে কর্মরত থেকে পূর্বের মতো নানা অনিয়ম দূর্নীতি অব্যাহত রেখেছে। সাধারণ চাকুরে হয়েও রেঞ্জ কর্মকর্তার আশকারায় স্থানীয় ভূমি খেকো ও কাঠ পাচারকারীদের সাথে আঁতাত করে অনৈতিক উপায়ে আয় করছে লাখ টাকা। ঐ টাকায় উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে বশে এনে বদলির ছয় মাস পরও বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে। অথচ তার বদলি আদেশের পর উক্ত পদে আরো দুই জন যোগদান করেছে।
অভিযোগ রয়েছে রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী মোকাম্মেল কবির এফজি সত্তারের মাধ্যমে বিগত ২০১৫ সালে বাঁশ ও বেত বাগানসহ সামাজিক বানায়নের প্লট বরাদ্দ দেবে বলে শতাধিক লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। যাদের অনেকে ঘুষ দিয়েও প্লট পাননি বলে অভিযোগ তুলেছে।
এছাড়া বনায়নের জন্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যে লাখ লাখ টাকার সরকারী বরাদ্ধ দিয়েছে ঐ টাকা রেঞ্জ কর্মকর্তা উক্ত এফজি সত্তারকে দিয়ে আকাশি খরচ ভাউচার তৈরি করে লোপাট করেছে বলে উপকার ভোগীদের অভিযোগ। ঐ বরাদ্ধকৃত টাকা বনায়নের উন্নয়নে ব্যবহার না করে উল্টো উপকারভোগীদের কাছ থেকে প্লট সংস্কারের নামে বিভিন্ন সময় প্লট পিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।
যা সরেজমিনে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বলে উপকারভোগীদের দাবি। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রধান সহযোগী সত্তারের বদলি আদেশ আসার পর যথাযথ হিসাব দিতে না পারলে রেঞ্জ কর্মকর্তার উক্ত অনিয়ম ফাঁস হয়ে পড়ার আশংকায় লোপাট করা সরকারী বাজেটের ভূয়া বিল ভাউচার ও হিসাব মেলানোর জন্য উভয়ই যোগসাজশের মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে কালক্ষেপণ করে বিগত ছয়মাস ফের অনিয়ম ও দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে।
অনেকে এ এফজির খুটির জোর কোথায়? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। অভিযুক্ত এফজি সত্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে যশোরে তার বদলি হয়েছে জানিয়ে বলেন তাকে রেঞ্জ কর্মকর্তা ছাড় পত্র দিচ্ছে না। রেঞ্জ কর্মকর্তার মোবাইলে বারবার রিং দিলেও রিসিভ করেনি।
বিভাগীয় বন সংরক্ষক শাহে আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে বদলির সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং অনিয়মের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। এদিকে এলাকার সচেতন লোকজন অবশিষ্ট বনজ সম্পদ রক্ষা ও সরকারের বরাদ্দকৃত টাকা লুটপাট থেকে রক্ষা পেতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিএসএফের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।