অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কক্সবাজার-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে আরো চারজনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত। বুধবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার এই সাক্ষিদের সাক্ষ্য নেন। তারা হলেন, রেকর্ডিং কর্মকর্তা ও উত্তর খান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল আহসান, টেকনাফের উচ্চমান সহকারী উপ-করকমিশন ইয়াসিন আরাফাত, টেকনাফের ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক শাহজাহান মনির এবং টেকনাফের সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ওসমান গনি।
এই চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৩ ফেব্রুয়ারী দিন ঠিক করেন। এ সময় সংসদ সদস্য বদি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।এর আগে মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. আব্দুস সোবহান এবং জব্দ তালিকার শনাক্তকারী প্রিয় কুমার চাকমার সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।এ মামলায় গত ৯ সেপ্টেম্বর বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।২০১৪ সালের ২১ আগস্ট বদির বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান মামলাটি দায়ের করেন। এতে তার বিরুদ্ধে ছয় কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। গত বছরের ৭ মে দুদকের উপপরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে, আদালত তা নামঞ্জুর করে বদিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি।২০১৪ সালের ২১ আগস্ট বদির বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহানের দায়ের করা ওই মামলা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার বাইরে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা অবৈধ সম্পদ থাকা এবং সম্পদ ৩৫১ গুণ বৃদ্ধির তথ্য পাওয়া যায়। পাঁচ বছরে তার আয় ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা বৃদ্ধি পায়। হলফনামা অনুসারে তার বার্ষিক আয় সাত কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ টাকা। বার্ষিক ব্যয় দুই কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৮ টাকা উল্লেখ করা হয়।২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৪৮০ টাকা। ব্যয় ছিল দুই লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ টাকা। ওই সময় বিভিন্ন ব্যাংকে তার মোট জমা ও সঞ্চয়ী আমানত ছিল ৯১ হাজার ৯৮ টাকা।