শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘বিদেশে নিজের বাড়ির গাছ কাটতে হলে সরকারের অনুমোদন লাগে কিন্তু আমাদের এগুলো নেই। তাই বনজ সম্পদ রক্ষায় আইন প্রণয়ন করতে হবে।
আজ শনিবার ঝালকাঠিতে জেলা প্রশাসন, সামাজিক বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিন ব্যাপী ফলদ বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন এবং এ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশের ভারাসাম্য না থাকায় আজকে ক্যান্সার, কিডনি রোগ, হাই ব্লাড প্রেশারসহ বিভিন্ন রোগে মানুষ আক্রন্ত হচ্ছে- এই দিকে লক্ষ্য রেখে ফলজ বৃক্ষ রোপনে মন্ত্রী সকলকে আহবান জানান।
অর্থ, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বেশি বেশি করে ফলের গাছ লাগানো ও বেশি বেশি করে দেশিয় ফল খাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন শিল্পমন্ত্রী।
অন্যান্যের মধ্যে বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কৃদ্দুস ভূইয়া, পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, কৃষিসম্প্রসারণ আধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মানিকহার রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
শিল্পমন্ত্রী আমু বলেন, ‘আমাদের দেশের পেয়ারা, আমড়া, আমলকি ও কাঁঠালসহ বিভিন্ন ধরনের ফল বিদেশি আপেল-আঙ্গুরের চেয়ে বেশি উপকারি ও পুষ্টিমান সম্পন্ন। অথচ আমরা দেশিয় ফলের দিকে সেভাবে নজর দেই না। আমাদের পরনির্ভরশীলতা কমাতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কায়িক পরিশ্রমের পাশাপাশি দেশিয় ফল খেতে হবে।’
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে দেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে মাতৃমৃত্যু- শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। অর্থনৈতিক দিক থেকেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই অর্জনগুলো ধরে রাখতে হবে।’
ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গনে আয়োজিত এ মেলায় ১৫ স্টলে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ, ফলদ ও ওষধী বৃক্ষের চারা প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হচ্ছে। মন্ত্রী স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।