পাকিস্তানের অধিনায়ক হয়েই বল টেম্পারিং করেন বলে শহীদ আফ্রিদি তার প্রকাশিত আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জারে’ উল্লেখ করেছেন। একবার নয় একাধিকবার তিনি বল টেম্পারিং করেছেন। এক সপ্তাহ হলো আফ্রিদির বইটি পাকিস্তান এবং ভারতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে আফ্রিদি অনেক বিতর্কিত তথ্য তুলে ধরেছেন। বইটি আফ্রিদি লিখিয়েছেন সাংবাদিক ওয়াজাহাত এস খানকে দিয়ে।
সুইংয়ের জন্য পাকিস্তানের বোলাররা বিশেষ খ্যাতি পেয়েছেন। অবাক করেছেন ক্রিকেট বিশ্বকে। অনেকে দাবি করেন, পাকিস্তানের পেস বোলাররা বল থেঁতলে টেম্পারিং করতো। আর সেজন্য বলে অনেক সুইং করতো। পাকিস্তানের তারকাদের মধ্যে সরফরাজ নওয়াজের সময় এই ধারা শুরু হয়। ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম এবং ওয়াকার ইউনুসরা এই অনৈতিক পথ বেছে নিয়েছেন।
তবে বল টেম্পারিং নিয়ে তারা কখনো কথা বলেননি। এবার বললেন পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার আফ্রিদি। তার বইতে তিনি লিখেছেন, ২০১০ সালে যখন পাকিস্তানের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হন তখনই তিনি বল টেম্পারিং করেন। তিনি বইয়ে বলেছেন, একাধিকবার তিনি বলে কামড় বসিয়েছেন। যাতে বল ভালো মুভ এবং সুইং করে। যাতে বিরুদ্ধ কন্ডিশনে বোলাররা সুবিধা করতে পারেন।
আফ্রিদি তার ওই বইয়ে হইচই ফেলে দেওয়ার মতো কিছু তথ্য দিয়েছেন। এই যেমন, পাকিস্তান দলে তার বয়স পাঁচ বছর কমিয়ে দেওয়া আছে। তার প্রকৃত জন্ম ১৯৭৫ সালে কিন্তু প্রোফাইলে আছে ১৯৮০ সালে। এছাড়া তিনি ভারতীয় সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীরকে ব্যক্তিত্বহীন বলে উল্লেখ করেছেন। বইয়ে লিখেছেন, ২০১০ সালে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজের স্পট ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে তিনি জানতেন। টিম ম্যানেজমেন্টকেও তিনি তা জানিয়েছিলেন।