কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসার কাজে শহরের ১নং ওয়ার্ডস্থ সমিতি পাড়া পয়েন্ট, নাজিরার টেক পয়েন্ট ও বাঁকখালী নদীর মোহনায় উপকুল থেকে অন্তত ২০০ মিটার দূরে সমুদ্রে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলনের অভিযোগে কক্সবাজার বিমানবন্দরর সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক ও বিমান বন্দর ব্যবস্থাপককে নোটিশ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ১২ জানুয়ারী পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশে আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের জবাব চাওয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ভূমি উন্নয়নের জন্য বাঁকখালী নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় না করে ছাড়পত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ড্রেজিং এর মাধ্যমে বালি উত্তোলন, সংরক্ষণ ও পরিবহনের কারণে নদীর তীরে পরিবেশ কর্তৃক সৃজিত ১৫ একর প্যারাবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে ওই এলাকার জীববৈচিত্র নষ্ট নষ্ট হওয়াসহ সম্প্রসারিত বিমানবন্দর এলাকায় ভবিষ্যতে ব্যাপক ভাঙন সৃষ্টি হতে পারে। তাই অপরিকল্পিত ড্রেজিং কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অন্যথায় পরিবেশগত ছাড়পত্র বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেন, পরিকল্পিতভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালি উত্তোলন করলে আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সাধন কুমার মহন্ত বলেন, আমি কক্সবাজারের বাইরে অবস্থান করছি। নোটিশের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তিনি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট লোজনই এ বিষয়ে জানবেন। সেখানে আমাকে নোটিশ করার কোন যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করিনা।