মালয়েশিয়ার ফেলডা ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ ও নেপালকে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নিজেদের শেষ খেলায় জয়ী হয়ে শ্রীলঙ্কা তাদের পয়েন্ট নিয়ে যায় তিনে। ফলশ্রুতিতে এক খেলা বাকী থাকতেই চার পয়েন্ট পাওয়া দুই দল বাংলাদেশ ও নেপাল পৌঁছে যায় সেমিফাইনালে। দুই পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শেষ স্থানটি লাভ করেছে মালয়েশিয়া।
এদিন শুরুতে ম্যাচের ধারার বিপরীতে হঠাৎ করেই এগিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ১৯ মিনিটে একটি পাল্টা আক্রমণ থেকে মিডফিল্ডার আজার মোহাম্মদ শাহিল কোনাকুনি থ্রু পাস দেন আরেক মিডফিল্ডার সুন্দারাজ নিরেশকে। বক্সের বামপ্রান্তে অফসাইড ট্রাফ ভেদ করে নিরেশ কাট ব্যাক করেন মিডফিল্ডার এ. বান্দারাকে। ফাঁকায় দাঁড়ানো বান্দারার প্লেসিং শট সাইড পোস্টে লেগে অতিক্রম করে গোললইন।
ফেলডা ইউনাইটেডের দুর্ভাগ্য ৩৬ মিনিটে ক্রসপিস তাদের সমতাসূচক গোল থেকে বঞ্চিত করে। ডানাপ্রান্ত দিয়ে শ্রীলঙ্কান দুর্গে ঢুকে পড়েন মিডফিল্ডার জে. দেভাসাগায়াম। বাতাসে ভাসিয়ে দেন মাপা একটি ক্রস। আর বল খুঁজে পেয়েছিল অভিষ্ট লক্ষ্য ফরোয়ার্ড ববি গনজালেসকে। কিন্তু তার সাইড ভলি ক্রসপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
ফেলডার দীর্ঘ শ্বাস আবারও দীর্ঘায়িত হয় প্রথমার্ধের অতিরিক্তি সময়ে। ববি গনজালেস এবার ’ওয়ান টু ওয়ান’ অবস্থায় পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন শ্রীলঙ্কান গোলরক্ষক রুয়ান অনুরাসিরিকে। বল প্লেস করতে দেরি করে ফেলেছিলেন তিনি।
শ্রীলঙ্কা তাদের জয় নিশ্চিত করে ৬৩ মিনিটে। দিনটি তাদের করে নেন মিডফিল্ডার এ. সি সানজিবা। মিডফিল্ডার চালানা চামিরার ফরোয়ার্ড পাস ফেলডা ইউনাইটেডের ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করতে দেরি করে ফেললে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যান সানজিবা। করমর্দনের দূরত্ব থেকে জোরালো ডান পায়ের শটে তিনি দুই গোলের লিড এনে দেন দলকে।
তবে ফেলডা ব্যবধান কমায় ৮২ মিনিটে। হাদিন আজমানের ক্রসে হেড করে গোলটি করেন নর ফজলি আলিয়াস। কিন্তু তাতে ম্যাচের ফলে কোনও প্রভাব পড়েনি। খেলা শেষে মাঠে উদযাপন করে শ্রীলঙ্কা আর মাঠের বাইরে বাংলাদেশ ও নেপাল!