বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরিতে তিনটি হ্যাকার গ্রুপের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে তদন্তকারীরা, যার মধ্যে একটি গ্রুপ পাকিস্তানের। এছাড়াও উত্তর কোরিয়ার দুইটি হ্যাকার গ্রুপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
বাংলাদেশের নিযুক্ত করা সিলিকন ভ্যালির সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ারআই’র দুই তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, অন্য হ্যাকার গ্রুপটি কারা এবং কোন দেশের, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ নিউ ইয়র্ক থেকে এই রিজার্ভ চুরির ঘটনার তদন্তে এফবিআই বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরের ব্যক্তিদের সন্দেহ করছে।
ফায়ারআইয়ের এক কর্মকর্তা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেটওয়ার্কে হয়ত ম্যালঅয়্যার বসানো হয়। হতে পারে এতে ব্যাংকের ভেতর থেকে কেউ সহায়তা করেছে।
ব্যাংক লেনদেনের আন্তর্জাতিক মাধ্যম সুইফটের মাধ্যমে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার গত ফেব্রুয়ারিতে চুরি যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ফায়ারআইকে ফরেনসিক তদন্তের দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া জাতিসংঘের প্রতিনিধির টেলিফোন ও ইমেইলের কোনো উত্তর দেয়নি উত্তর কোরিয়া। খবর: ব্লুমবার্গ।