বাংলাদেশ–মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক নির্মাণ কাজের প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী বহন ও রাখা নিয়ে চাঁদা দাবী করেছে ঘুমধুমের কয়েকজন উশৃঙখল যুবক।তাদের দাবীকৃত মোটাংকের টাকা প্রদানে ব্যর্থ হলে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে রাখা ইট গুলো সরিয়ে নিতে বলা হয়। ঘটনার বিবরণে জানাযায়, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ – মিয়ানমার মৈত্রী সড়কের ২ কিলোমিটার নির্মাণ কাজ দ্রুত সময়ে বাস্তবায়নে ৮৪ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্ধ দেয় বিগত বছরে। এ লক্ষে ৪ লেনের ৮০ ফুটের প্রসস্থ এ সড়ক নির্মাণে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে কার্যাদেশ মতে দুয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প হওয়ায় গত সেপ্টেম্বরে উক্ত সড়ক পরিদর্শনে আসেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নকারী সংস্থা ১৬ ইসিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেন। গত বছরের নভেম্বরে কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রয়োজনীয় ভুমি গ্রহণে একটু সময় ক্ষেপন হয়। অবশেষে কাজ শুরুর চুড়ান্তে গত (১৫ জানুয়ারী) প্রাথমিক পর্যায়ে নির্মাণ শ্রমিকদের শেড নির্মাণের জন্য ইট আনা শুরু করে উপ – ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক কন্সট্রাকশন গ্রুপ। উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক প্রতিনিধি শুক্রবার বিকেলে ইটার গাড়ী নিয়ে এসে নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর ১৬ ইসিবির প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) ও প্রকৌশলীদের দেখিয়ে দেয়া ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ইটা মজুদ করেন। ওই মাঠে ইটা মজুদ করতে বিদ্যালয় কতৃপক্ষের নিকট যথাযথ অনুমতি আবেদনও করেন উপ – ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক কন্সট্রাকশন গ্রুপ। আবেদন গ্রহণ করে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ সন্তোষজনক কথা বলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক গ্রুপের পরিচালকদের সাথে। কিন্তু বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মজুদ করা ইট গুলো সরিয়ে নিতে হবে এমন বিপত্তিতেই নির্মাণ কাজে বাধা হয়ে দাড়ায় একদল উশৃংখল যুবক।ওইদলের নেতৃত্বদেন ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস শুক্কুরের ছেলে ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরুল ইসলাম পারভেজ ও ঘুমধুম ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা শাহাবুদ্দিনসহ কয়েকজন জামায়াত শিবির সর্মথিত বখাটে যুবক। যারা নির্মাণ সামগ্রী মজুদস্থল থেকে ফেরার পথে উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কক্সবাজারস্থ ম্যাক গ্রুপের পরিচালকদের বহনকরা কার গাড়ীর গতিরোধ করে মাঠে রাখা ইটাগুলো সরিয়ে নিতে সময় বেধে দেন,
অন্যথায় পরিনতি ভাল হবেনা বলে শাঁসিয়ে দেন। তবে ওই যুবকদের কানাঘুষায় জানাযায়, ঠিকাদারকে শাঁসিয়ে কাজে বাধাগ্রস্থ করলে মোটাংকের টাকা দিবে লোভে এই অনৈতিক বাধাদান বলে একাধিক প্রত্যেক্ষদর্শী লোকজন জানান, ওই সময় আমরা সেখানে জড়ো হওয়া যুবকদের কথিত নেতা পারভেজকে বলি তোমরা দেশ ও বিদ্যালয় প্রেমিক কিনা? এতে পারভেজ ক্ষিপ্ত হয়ে চোঁখ রাংগিয়ে উত্তর দিলেন আমরা এই রকম দেশপ্রেমিক না! এব্যাপারে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি খালেদ সরওয়ার হারেজ বলেন মৈত্রী সড়ক নির্মাণ কাজের মালামাল রাখার জন্য অনুমতি চেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপাতত অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এটি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রকল্প। এটিতে দেশের বৃহৎ সার্থ জড়িত। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য ডা:শাহজাহান বলেন আমি দেশপ্রেমিক। এ সড়ক আমাদের অহংকারের সম্পদ এবংবর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার শাশ্বত ফসল। ঘুমধুম ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান কামালউদ্দিন বলেন পাওয়া মানিক হারানোর পর বুঝবে। এ সড়ক দেশও দশের অমুল্য রতœ। যে সড়ক বাস্তবায়িত হলে ঘুমধুম নয় পুরো দেশ আলোকিত হবে। ঘুমধুম ইউপির চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন এ সড়ক দ্রুত সময়ে বাস্তবায়িত হউক এটাই আমাদের চাওয়া।কোন কুচক্রী মহলের ইন্দনে হয়তো ছেলেরা কাজকর্ম নিতে এমনটায় করেছে। সুবিধা হাসিলের জন্য এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মনেকরি। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু আহমদকে অবহিত করলে, তিনি ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরুল ইসলাম পারভেজকে সর্তক করে পরবর্তী ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বস্থ করেন। উপ- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক কন্সট্রাকশনের পরিচালক হাবিবুল ইসলাম জানান এ কাজ বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতায় আমাদের কাম্য। কোন ঝামেলায় যেতে আমরা ইচ্ছুক না। প্রতিকুল পরিস্থিতি হলে মুল নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে অবগত করে, তাদের নির্দেশনা ও সিডিউল মোতাবেক কার্য সম্পাদনে আমরা বদ্ধ পরিকর।