বাংলা নববর্ষ উদযাপন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। দেশী-বিদেশী মিলিয়ে এবার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে আনন্দ উপভোগের জন্য অন্তত: ২ লক্ষ পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন শিল্প নির্ভর ব্যবসায়ীরা। বাংলা নববর্ষের কয়েকদিন আগে থেকেই এখানকার ছোট-বড় সব ধরণের হোটেল-মোটেল, গেষ্ট হাউস ও কটেজের রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে যাওয়া অনেক পর্যটককে রুম না পেয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে দেখা গেছে। তবে কলাতলি কেন্দ্রীক অধিকাংশ আবাসিক হোটেলে স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুন ভাড়া বাড়িয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেক পর্যটক। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার বাংলা নববর্ষ অর্থ্যাৎ বাঙালী জাতির প্রাণের উৎসব পালন ও এর পর শুক্র এবং শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় পর্যটকেরা বিনোদনের উপযুক্ত স্থান হিসেবে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতকে বেছে নিয়েছে। এদিকে পর্যটকদের আগমনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পুলিশের পাশাপাশি পর্যটকদের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে র্যাব সদস্যরাও। পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানিয়েছেন-বৃহস্পতিবার থেকে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটেছে।
পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে পোষাকধারী পুলিশ সদস্যর পাশাপাশি নারী ও পুরুষ সদস্য মিলিয়ে সাদা পোষাকেও পুলিশ সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে যাতে করে কোন পর্যটক ছিনতাই কিংবা হয়রানির শিকার না হয়। এদিকে লক্ষাধিক পর্যটকের আগমনে খুশি এখানকার ডিম-ডাব বিক্রেতা থেকে শুরু করে হোটেল ব্যবসায়ীসহ পর্যটন শিল্প নির্ভর সকল ধরণের ব্যবসায়ী। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেষ্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার বলেন-পর্যটকদের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন তারা তবে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করেন তিনি। শুধু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নয়, দেশী-বিদেশী পর্যটকদের উচ্ছ্বাস আর কোলাহল ছড়িয়ে পড়েছে পাথুরে বীচ ইনানী, হিমছড়ি, দরিয়ানগর, মহেশখালীর আদিনাথ, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, রামু বৌদ্ধ মন্দিরসহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পট। পুরানা ঢাকা থেকে আসা আব্দুর কাদের ও তার স্ত্রী শারমিন আকতার জানান, হোটেলে থাকার জায়গা মিলছেনা। অনেক ঘুরাঘুরি করে স্থানীয় এক পরিচিত লোকের বাসায় থাকতে হয়েছে। তারা জানান-এর আগে অনেকবার কক্সবাজারে এসেছে তবে এবারের মত থাকার জায়গা নিয়ে বিড়ম্বনায় আর পড়তে হয়নি।