রামু উপজেলার অর্ন্তগত গর্জনিয়ার আসন্ন ইউপি নির্বাচনের হাতিয়ার এখন বাকঁখালী ব্রীজ ও বাকঁখালী নদীর ভাঙ্গন। এ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এ ব্রীজকে নির্বাচনের হতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। এরই মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী তৈয়ব উল্ল্াহ চৌধুরী ককসব্জাার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে গত সোমবার।
অপরপ্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে সাথে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন একই দিন এ ব্রীজ ভাঙ্গন তথা ব্রীজের এপ্রোচ সরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের বিষয়টি নিয়ে।
পক্ষান্তরে বিএনপির সাম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মাওলা চৌধূরী চুপচাপ বসে থেকে এসব পর্যবেক্ষণ করছেন দূর থেকে । কেউ কেউ বলছেন তিনি আগের দু’চেয়ারম্যান প্রার্থীর তামসা দেখছেন নিবিড়ভাবে।
গর্জনিয়ার এ সাবেক চেয়ারম্যান জানান, এ দু’জন তো ( তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ইঙ্গিত করে বলেন) সরকারী দলের লোক। তারা অনেক কিছু করতে পারে। আর তিনি বিরোধী দলের একজন কর্মি। সে জন্য তিনি বেশী কথা বলতে চান না।
তবে সংক্ষেপে তিনি বলেন, মানববন্ধন আর বিবৃতি প্রদানকারীরা এসব নাটক করছেন। এতোদিন তারা কোথায় ছিল ! এখন নির্বাচন অতি সন্নিকটে। তাই ব্রীজের জন্যে এতো দয়া মায়া।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম এ প্রসংগে জানান,নির্বাচন বলে কাজ করা এ ্ তিনি নজরুলের কাজ নয়। এ ব্রীজ তিনি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় করেছিলেন। আর এখন এমপি কমল ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে দিয়ে সংস্কারের জন্যে তিনি সব কিছু করছেন।
গত বর্ষাকালে শাহসূজা সড়ক এলাকায় বাকঁখালী নদীর ্উপর নির্মিত ব্রীজের এপ্রোচ দ্বিতীয় দফা ভা্গংনের কারনে গর্জনিয়া ইউনিয়ন ও বাইশারী ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ দারুন কষ্টে দিন কাটাচ্ছিল। রোগি,গর্ভবতি নারী,শিশু,বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থী সহ এলাকার মানুষের দূর্দশা লাগবের জন্যে তিনি এসব করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন এ নিয়ে পত্র পত্রিকায় অনেক নিউজও তিনি করিয়েছিলেন সাংবাদিকদের দিয়ে। সব মিলে প্রশাসন অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সংস্কার কাজের বাজেট জেলা পর্যায়ে চলে আসার সংবাদ শুনে একটি মহল মানববন্ধন সহ অনেক কিছু করছে। যা হাস্যকর। এর সব কিছু জনগন বুঝবে।
অপরদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানান,তিনি নির্বাচনী হাতিয়ার হিসেবে নয় বরং জনগনের কল্যানেই ব্রীজের জন্যে মানববন্ধন সহ সব কিছু করছেন। এতো দেরীতে কেন এ মানবন্ধন করেছেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক ফোন করেছে তাই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি মানববন্ধনেও অংশ নেন তিনি।
এছাড়া তিনি আরো বলেন,তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান আছেন,থাকবেন। নিবার্চন আসছে,অংশ নেবেন। তিনি অপর প্রার্থীদের মতো কারো টাকা মেরে খাননি, কারও পকেটের টাকা খাওয়ার রের্কটও নেই। সুতারাং নির্বাচনকে ভয় পওয়ার কারণও নেই।
এলাকার অভিজ্ঞ মহলের মতে, এ ব্রীজের জন্যে প্রশাসনের ফান্ডে ৩ কোটি টাকা এসে পৌছাঁর খবর পেয়ে মানববন্ধন কেন! বিবৃতি কেন! আর তামসা দেখবে কেন! ব্রীজ তো ভেঙ্গে গেছে দীর্ঘ ৮ /৯ মাস পার হয়ে গেছে। আগে তো এসব করা যেতো।
চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ এতোদিন পরে কেন মানববন্ধন করলেন ,নিশ্চয় রহস্য আছে।
তারা আরো বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দায়িত্ব এড়াতেই আগামী নির্বাচনে এ ব্রীজটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। সাধারণ মানুষ তা বুঝে।
তবে তারা সরকারকে সাধুবাদ দিয়ে এ-ও বলেন যে- অন্তত আগামী বর্ষা মৌসূম থেকে এলাকার একলাখ মানুষ সংস্কার হওয়া ব্রীজ দিয়ে পার হতে পারবে। ছিপা নৌকা বা সাঁকো দিয়ে নয়।