মাঠের ভেতরে কিংবা বাইরে বিতর্ক যেন নিত্যসঙ্গী ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার। এবার সেই বিতর্ককে ছাড়িয়ে গেলেন সাবেক আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা। প্রাক্তন বান্ধবী রোসিও অলিভারের করা মামলায় গ্রেপ্তার হলেন তিনি।
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেস বিমানবন্দরে নামার পরই গ্রেপ্তার হন ম্যারাডোনা। মেক্সিকোর একটি ক্লাবে কোচিং করান ফুটবলের এই রাজপুত্র। সেখান থেকে ফিরতেই প্রাক্তন বান্ধবীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে এখনো এই কিংবদন্তিকে কারাগারে নেয়নি পুলিশ।
জানা গেছে, ২০১২ সালে অলিভার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল ম্যারাডোনার। সাবেক ফুটবলার বলে অলিভার সঙ্গে ম্যারোডোনার জমেছিলও ভালো। একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে মজার পর বান্ধবীকে বুয়েনেস এইরেসের বেলা ভিস্তায় একটি বাড়িও কিনে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু অলিভা গত ডিসেম্বরে শুধু ছয় বছরের সম্পর্কের ইতি টানেননি, বরং ম্যারাডোনাকে বের করে দিয়েছিলেন তাঁর কিনে দেওয়া বাড়ি থেকেই!
আর্জেন্টিনার এল নুয়েভ চ্যানেলের তোদাস লাস তার্দেস অনুষ্ঠানে কিছুদিন আগে এমন খবরই শুনিয়েছিলেন সাংবাদিক লিও পেকোরারো। সাংবাদিকের দাবি, ‘ম্যারাডোনা অলিভাকে বেলা ভিস্তায় যে বাড়িটি উপহার দিয়েছিলেন, সেখান থেকে তিনিই গলাধাক্কা খেয়েছেন।’
ঘটনার সূত্রপাত নাকি অলিভার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে। এই সাবেক খেলোয়াড় ইএসপিএন রেদেস-এ কথাবার্তার একপর্যায়ে নিজেকে ‘সিঙ্গেল’ দাবি করেছিলেন। পেকোরারোর দাবি, এতে নাকি ক্ষুব্ধ হন ম্যারাডোনা। ঝগড়া-ঝাঁটির একপর্যায়ে ম্যারাডোনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন অলিভার। এমন মনোমালিন্যের এক পর্যায়ে গত ডিসেম্বরে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় এ জুটির। তার আগে ছয় বছরের সম্পর্ক ছিল ম্যারাডোনা-অলিভার মধ্যে।
বিচ্ছেদের পর অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৯ মিলিয়ন ডলার বা ৭৬ কোটি টাকার মামলা করেন অলিভা। সে মামলার কারণেই মেক্সিকো থেকে ফেরার পথে গ্রেপ্তার করা হয় ম্যারাডোনাকে। স্যান মিগুয়েলের পারিবারিক আদালতে ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে এ মামলা লড়বেন অলিভা। তবে, গ্রেপ্তারের পর ম্যারাডোনাকে আটকে রাখেনি পুলিশ। কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রেপ্তারের দেখিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। হাতে একটা নোটিশও ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৩ জুন এ মামলা নিয়ে শুনানিতে আসতে হবে ফুটবলের এই কিংবদন্তিকে।