কুতুবদিয়াবাসীর সেই দীর্ঘদিনের গ্রীডলাইন বিদ্যুতের দাবীটি পুরণ হচ্ছেনা এখনো। উপজেলা সদরের আংশিক এলাকায় অনিয়মিতভাবে মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য পিডিবির ডিজেল চালিত জেনারেটর ও ২০০৬ সনে স্থাপিত বায়ু বিদ্যুত পাইলট প্রকল্পের কোন সুফল নেই। দেশের দূর্ঘম এলাকায় বিদ্যুতের ঝিলিক চলতে থাকলেও স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরেও সেই অন্ধকারে বসবাস করছেন সম্ভাবনাময় দ্বীপ-কুতুবদিয়ার প্রায় পৌনে দু’লাখ মানুষ।
আশির দশক থেকে এ পর্যন্ত কয়েকটি জেনারেটর স্থাপন করে পিডিবি। অনিয়ম, দুর্নীতি ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনায় প্রচুর পরিমাণে সরকারী টাকার অপচয় হলেও সিষ্টেমটি জনগনের তেমন কাজে আসেনি। এমনকি সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সরবরাহকৃত এ বিদ্যুত উপজেলার অফিস পাড়ায়ও কোন কাজে আসছেনা। তাও আবার ইঞ্জিন বিকল দেখিয়ে বছরের অধিকাংশ সময় সরবরাহ বন্ধ থাকলেও ফুয়েল সাপ্লাই ঠিকই চালু থাকে।
২০০৫ র’ দিকে সাবমেরিন ক্যাবলের সাহায্যে জাতীয় গ্রীডলাইনে বিদ্যুতের সম্ভাবনাটি কতিপয় ব্যক্তি বিষেশের কারণে শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। তৎকালীন সরকারের উচ্চ পদস্থ এক কর্মকর্তার প্রচেষ্টায় একটি ১ হাজার কিলো শক্তি সম্পন্ন প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বায়ু বিদ্যুত পাইলট প্রকল্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিসেস্ লিমিটেড। তদারকীর না থাকায় নি¤œমানের উইং টারবাইন, ব্যটরীসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও নির্মাণত্রুটির কারণে দীর্ঘ ১০ বছর অচল অবস্থায় পড়ে আছে। প্রকল্পটি আলোর মূখ দেখাতে ব্যর্থ হলেও বর্তমানে এটি স্থানীয় এবং বহিরাগতদের তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। এমতাবস্থায় ওই স্থানে একই ঠিকাদার অবিকল শক্তি সম্পন্ন আরো একটি বায়ু বিদ্যুত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দেখে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন পর আগের বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে শান্তিবাজার এলাকার শতাধিক গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়ে নতুন প্রকল্পকাজ শুরু করে। মাসখানিক সরবরাহ পেলেও পরে বাতাসের গতিবেগ হ্রাসের অজুহাতে বিদ্যুত দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় সার ডিলার আবু তৈয়ব সিকদার, নুরুল আলম, সলিম উল্লাহ, মাষ্টার বদরুল আযাদ, আবদুস শুক্কুর, শাহাব উদ্দিন, নুরু সওদাগর, আক্কাস সওদাগর, কপিল সওদাগরসহ অনেকেই।
সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ যৌথ অর্থায়নে ৮কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক ফজলুর রহমান। বিদ্যুতের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন আবাসিক প্রকৌশলী সাজ্জাদ সিদ্দিক।
০১৭৫৫৫৮৩০১৭ মোবাইল নম্বরে জানতে চাইলে সরাসরি ঢাকাস্থ বিদ্যুত ভবন’র ১৪ তলায় যোগাযোগ করতে বলেন কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রকল্পটিতে কী রহস্য কাজ করছে তা’স্পষ্ট হওয়া দরকার বলে সচেতন মহল মনে করেন। বিদ্যুতের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা, গড়ে ওঠছেনা শিল্প-কারখানা ও পর্যটন কেন্দ্র।
উন্নত দেশে কম খরচে সুফল পেতে থাকলেও আমাদের দেশে অত্যাধুনিক প্রকল্পটি কেন সাচটেইন করছেনা বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করের সরকারের সাবেক বিদ্যুত ও জ্বালানী সচিব কুতুবদিয়ার সন্তান আ.ম.ম.নাসির উদ্দিন।