অগণতান্ত্রিকভাবে জন্ম নেওয়ায় বিএনপি গণতন্ত্রের বড় শত্রু। এমন মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১০ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে এ সময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দুর্বৃত্তায়নের দল বিএনপির মহাসচিব হচ্ছেন মির্জা ফকরুল ইসলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে বিএনপির দুর্বৃত্তায়ন, বিএনপির দুর্নীতি, তারেক রহমান এবং তারেক রহমানের মাতা খালেদা জিয়ার দুর্নীতি নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। সেই বক্তব্যের আলোকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই বক্তব্য নাকি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। আমি বলবো, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি হচ্ছে বিএনপি। কারণ তারা গণতন্ত্রকে সব সময় বাধাগ্রস্ত করেছে, তাদের জন্মটাই হয়েছে অগণতান্ত্রিকভাবে। সেনা ছাউনির মধ্য থেকে রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত এবং রাজনৈতিক মুনাফালোভীদের ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে এই রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছে। এরাই হচ্ছে গণতন্ত্রের বড় শত্রু, এই গণতন্ত্রের শত্রুদের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে কথা বলার অধিকার নাই। 

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘২০ দলে আমরা ভাঙ্গনের সুর দেখতে পেলাম। ২০ দল থেকেও অনেকে ধীরে ধীরে পালাতে শুরু করেছে। দেশের স্বার্থে গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপি এই দুর্বৃত্তায়নের চক্র থেকে বের হয়ে গণতান্ত্রিক ভাবে পরিচালিত হবে আমরা এটা চাই। বিএনপি জনগণের দল হবে, এটাই আমরা চাই। সেটা করতে হলে আপনাদের রাজনৈতিক কর্মপন্থা পরিবর্তন করতে হবে।’

রাজনীতিতে বণিকায়ন ও দুর্বৃত্তায়নের কারণে এখন রাজনীতিতে ব্রত নেই মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে রাজনীতিবিদরা রাজনীতির যে একটা ব্রত আছে সেটা ভুলে গেছেন। যে কারণে রাজনীতিতে বণিকায়ন ও দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘বণিকায়ন আর দুর্বৃত্তায়নের বাংলাদেশে সূতিকাগার জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান বণিকায়ন আর দুর্বৃত্তায়ন শুরু করেছে, আর সেটিকে ষোলকলায় পূর্ণ করেছে এরশাদ সাহেব। এটি বাস্তবতা, অনেকের হয়তো শুনতে খারাপ লাগবে। রাজনীতিতে বণিকায়ন এবং দুর্বৃত্তায়ন বিএনপি যে করেছে, এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে তারেক রহমানের মত একজন স্বীকৃত দুর্বৃত্তকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা।’

‘তারেকের নেতৃত্বে একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, হাওয়া ভবন হয়েছে, যে হাওয়া ভবন থেকে প্রতিটি ব্যবসা থেকে টোল আদায় হতো।’ যোগ করেন হাছান মাহমুদ।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী সামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা।