পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের বালুকাময় ও নান্দনিক সৌন্দর্যের রানিখ্যাত ইনানী সৈকতে অবৈধভাবে বিচবাইকের বেপরোয়া চলাচলের কারণে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে যত্রতত্র ও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে বিচবাইক। বিচবাইকের ধাক্কায় অনেক পর্যটক প্রায় সময় আহত হওয়ারও নজির রয়েছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নান্দনিক পর্যটনস্পটগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে উখিয়ার ইনানী। সাগর ঘেঁষা, পাহাড় ও সাগরের নীল জলরাশির ঢেউ এবং পাথরের স’ুপ দেখার জন্য প্রতিদিন এখানে শতশত দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটছে। কিন’ বিচবাইকের যন্ত্রণায় পর্যটকরা এখন অতিষ্ঠ এখানে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইনানী সৈকতে ২০টির অধিক বিচবাইক রয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়াভাবে সৈকতজুড়ে চলতে থাকে এসব বিচবাইক।
ট্যুরিস্ট পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে বেপরোয়াভাবে চললেও প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে থাকে, এমন অভিযোগ একাধিক মহলের। যার ফলে বাইকের অত্যাচার বন্ধ করা দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পর্যটকরা। মুখ ঘুবিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এছাড়াও প্রতিদিন ঘটছে এ নিয়ে দুর্ঘটনা। গত শনিবার ইনানী সৈকতে আজিজুল হকের একটি বিচবাইক উল্টে ৫ জন পর্যটক আহত হন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে তাদের নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
এছাড়াও বিচবাইকের ধাক্কায় রেজাউল করিম ভূট্টো নামের এক ফটোগ্রাফার গুরুতর আহত হন। তার পা ভেঙে গেছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। গুরুতর অভিযোগ ওঠেছে, ইনানী সী-বিচ ব্যবসায়ী বহুমুখি সমবায় সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। তিনি সুকৌশলে প্রশাসন থেকে বিচবাইক চলাচলের অনুমতি নিয়ে এ ব্যবসা চালাচ্ছেন। বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে সৈকতজুড়ে বিচবাইকগুলো চলাচল করায় পর্যটকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সূত্রে জানা গেছে, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি থেকে ১৬টি বিচবাইক চলাচলের অনুমতি নেয়া আছে। বাদ বাকি যেসব বাইক চলছে, তা অবৈধভাবেই চলছে।