ব্যাংকের এটিএম বুথে কার্ড জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে থমাস পিটার নামের এক বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। একই ঘটনায় সিটি ব্যাংকের আরও তিন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।
থমাস পিটার জার্মানির নাগরিক। তাঁর পোল্যান্ডের পাসপোর্ট রয়েছে। আটক হওয়া তিন ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন মোরশেদ আলম মাকসুদ, রেজাউল করিম ও রিয়াজ আহমেদ।
ডিবির (উত্তর) উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলমের ভাষ্য, রাজধানীর গুলশান থেকে গতকাল রোববার রাতে থমাস পিটারকে আটক করা হয়। পরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবে ডিবি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সর্দার জানিয়েছেন, এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনার তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে, ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে এক বিদেশিকে আটক করা হয়। পরিচয় জানানো না হলেও তিনি পূর্ব ইউরোপের একটি দেশের নাগরিক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, বনানীতে অবস্থিত একটি এটিএম বুথের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ দেখে পূর্ব ইউরোপের দেশটির ওই নাগরিককে শনাক্ত করা হয়। আটক ওই ব্যক্তির কাছে একাধিক দেশের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বেসরকারি তিনটি ব্যাংকের চারটি এটিএম বুথে স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে গ্রাহকের তথ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি ইস্টার্ন, সিটি ও ইউসিবি ব্যাংকের এটিএমে এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ইস্টার্ন ব্যাংকের গুলশানের দুটি, ইউসিবির বনানীর একটি ও সিটি ব্যাংকের মিরপুরের কালশী এলাকার এটিএম বুথে বিশেষ যন্ত্র বসিয়ে কার্ড জালিয়াতি করা হয়।
গত ৬ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজধানীর ইস্টার্ন, সিটি ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) চার বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ বসিয়ে কার্ডের তথ্য চুরি ও পরবর্তী সময়ে কার্ড ক্লোন করে গ্রাহকদের অজান্তে টাকা তুলে নেওয়া হয়। বিষয়টি ১২ ফেব্রুয়ারি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় বনানী থানায় ইউসিবি এবং পল্লবী থানায় সিটি ব্যাংক আলাদা দু’টি মামলা করে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, জালিয়াতির ঘটনায় ৪টি ব্যাংকের ৪০ জন গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের হিসাব থেকে প্রায় ২১ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।