রাজধানী ঢাকার অভিজাত ও কূটনৈতিক এলাকা গুলশান দুই নম্বরে একটি রেস্তোরাঁয় শুক্রবার রাতে জঙ্গি হামলা ও জিম্মি সংকট নিয়ে বিশ্বের নজর এখন ঢাকায়।
তিনজন জিম্মি উদ্ধার হলেও ধারণা করা হচ্ছে সেখানে ৩০ থেকে ৪০ জন জিম্মি জঙ্গিদের হাতে রয়েছে। তাদের ভাগ্যে কী হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। তারা কি বেঁচে আছে- এটিই এখন শত কোটি টাকার প্রশ্ন।
ঢাকার জিম্মি ঘটনা ও হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্ব দিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। রয়টার্স, বিবিসি, আলজাজিরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া, টেলিগ্রাফসহ বিশ্বের বড় বড় গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম হয়েছে ঢাকার জিম্মি সংকট।
এদিকে আইএসের বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, হামলাকারীরা এরই মধ্যে ২০ জনকে হত্যা করেছে। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, আইএসের দাবি এ সংখ্যা ২৪।
অন্যদিকে ঢাকার জিম্মি সংকট নিয়ে বৈঠক হয়েছে হোয়াইট হাউসে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে বলা হয়, জিম্মি ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে হোয়াইট হাউস।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের সতর্কাবস্থায় থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশে আইএস বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করলেও তা উড়িয়ে দিয়েছে সরকার পক্ষ। কিন্তু এবারের হামলা যদি সত্যি আইএস চালিয়ে থাকে, তবে তা হবে বাংলাদেশে আইএসর সবচেয়ে বড় হামলা।
গুলশানে রেস্তারাঁয় হামলার প্রতিরোধ করলে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলি হয় জঙ্গিদের। এ সময় দুজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।
অপরদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, গুলশানে হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এই হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশকে সহায়তারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গুলশানের রেস্তোরাঁয় ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলা চালিয়েছে কি না তা নিশ্চিত নয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে আইএস যে এই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে, সে ব্যাপারে দেশটি অবগত রয়েছে। হামলার বিষয়টি জেনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট ওবামার সন্ত্রাসবাদবিরোধী প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা লিসা মোনাকো গুলশানে হামলার বিষয়টি প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট এই হামলার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বলেছেন।