আল-কায়দার সাবেক প্রধান ওসামা বিন-লাদেন বেঁচে আছেন! সাধারণের কাছে এ খবর অবিশ্বাস্য। সংবাদ মাধ্যমের সামনে এটি বিচার-বিশ্লেষণের। একইসঙ্গে অনুসন্ধানেরও বিষয়। দুর্ধর্ষ গেরিলা নেতা হিসেবে খ্যাত বিন-লাদেনকে ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে গোপন মেরিন সেনাদলের অভিযানে হত্যা করার কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। হোয়াইট হাউজে বসে সে বিশেষ অভিযানের দৃশ্য দেখেছিলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ প্রশাসনের মীর্ষ কর্তারা। অভিযান শেষে আল-কায়েদার এ নেতার মরদেহ মুসলিম রীতিতে সৎকার করে সাগরে ভাসিয়ে দেয়ার কথাও বলা হয়েছিলে সে সময়।
আল-কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে নিয়ে একসময় মুখরোচক আলোচনা ছিল বিশ্বজুড়ে। মার্কিন মুল্লুকে বেড়ে ওঠা সৌদি বংশোদ্ভুদ ওসামা বিল-লাদেন বিশ্ব মিডিয়ায় হৈ-চৈ ফেলে দেয়া এ গেরিলা নেতা সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন বহুবার। কখনও আফগানিস্তানে যুদ্ধবাজ এ গেরিলা নেতার গোপন আস্তানা নিয়ে, কখনও তার রণকৌশল নিয়ে, আবার কখনও তার পারিবারিক জীবন বিশেষত স্ত্রী-সন্তান-সন্তুতি নিয়ে। তবে তেমনভাবে মিডিয়ায় আসেনি বিন লাদেন ও তার পরিবারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের মালিকানায় পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক নিয়ে। রাশিয়ার দখল থেকে আফগানিস্তানকে মুক্ত করতে পাকিস্তান প্রশাসনের সহযোগিতায় মার্কিনিরা বিন-লাদেনকে সব কিছু দিয়ে সহায়তা করেছে সে বিষয়ও মিডিয়ায় তেমন বিষদভাবে উঠে আসেনি।
একসময় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকার এ গেরিলা নেতাকে হত্যার চার বছর পর তার জীবিত থাকার কথা বলছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিভাগের সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্লোডেন। বিন-লাদেন জীবিত আছেন এমন প্রমাণ তার কাছে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। গত রোববার রুশ পত্রিকা মস্কো ট্রিবিউনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেন স্নোডেন। মার্কিন নিরাপত্তা বিভাগের সাবেক কর্মি ক’বছর ধরে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে বসবাস করছেন।
সাক্ষাৎকারে স্নোডেন বলেন, ‘অ্যাবোটাবাদে মার্কিন সেনার হানায় মৃত্যু হয়নি ওসামা বিন লাদেনের। তিনি এখনো জীবিত আছেন এবং পরিবার-পরিজনসহ বহাল তবিয়তেই রয়েছেন। জীবনধারণের জন্য তাকে নিয়মিত মাসোহারা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।’
স্নোডেনের দাবি অনুযায়ী, বর্তমানে বাহামা দ্বীপে রাখা হয়েছে লাদেনকে। পরিবারের সঙ্গে দ্বীপের গোপন আস্তানায় তার ওপর কঠোর নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। পাশাপাশি প্রতি মাসে লাদেনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা দিচ্ছে গুপ্তচর সংস্থাটি। ব্যবসায়ী ও কিছু সংস্থার মাধ্যমে লাদেনের অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠানো হয়ে থাকে। অর্থের পরিমাণ ১ লাখ মার্কিন ডলার বলেও জানান স্লোডেন।
সাবেক এ মার্কিন গোয়েন্দা কর্মি বলেন, ‘পাকিস্তানের সহায়তায় এ্যবোটাবাদে ওসামা বিন-লাদেনকে হত্যার নাটক সাজায় মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ)। মরদেহ মুসলিম রীতিতে সাগরে ভাসিয়ে দেয়ার কথা বলে পরিবার-পরিজনসহ বিন লাদেনকে গোপন স্থানে সরিয়ে নেয়া হয় বলেও দাবি স্লোডেনের। বিন-লাদেনের বেঁচে থাকা নিয়ে সংগৃহীত সব তথ্য দিয়ে শিগগিরই বই লিখবেন এবং তা প্রকাশ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন সাবেক এ মার্কিন গোয়েন্দা কর্মী।’