১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ান এক নাগরিকের সঙ্গে পাওলিনের পরিচয় হয়। তখন তিনি ২১ বছরের ছাত্রী। পড়ালেখা করেন নটিংহামে। পরিচয়ের তিন বছরের মাথায় বিয়ে করেন তারা। ২৮ বছর দাম্পত্য জীবনের পর তার স্বামী মারা যায় ২০১৩ সালে। এরপর তিনি চলে আসেন লন্ডনে।
এরপর থেকেই শুরু হয় একা জীবন চলা। নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে নিয়মিত জিম করেন পাওলিন। ঘরে ২৩ বছরের দুই সন্তান থাকা সত্ত্বেও চুটিয়ে প্রেম করছেন এই নারী। সপ্তাহে অন্তত তিনবার তিনি ডেটিংয়ে যান। নিজের সন্তান সমতুল্য ছেলেদের সঙ্গে তার উঠাবসা। শুধু তাই নয়, রাতে তার ছেলেরা না থাকলে পাওলিন সন্তান সমতুল্য অন্য ছেলেদের বাসায় নিয়ে আসেন। চলে মদ্যপান। এরপর মেতে উঠেন আদিম খেলায়। এটাই নাকি তার নেশা। এতে অবশ্য কোন আক্ষেপ নেই ডিভোর্সি এই নারীর। তার ভাষ্য, একাকী জীবনে একটু আনন্দের প্রয়োজন আছে। তাছাড়া তিনি নিজেকে তরুণী ভাবতে ভালবাসেন তিনি।
ছেলে ক্রেইগের ভাষ্য, তার মা কম্পিউটারে বসে সারাক্ষণ চ্যাট করেন। তারা বাসায় থাকলেও এ নিয়ে কোন রাগঢাক নেই মায়ের। তার মা এই বয়সে এসে বিকিনি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে।
পাওলিন জানান, রাস্তায় বের হলেই মানুষ অন্যভাবে তাকায়। এতে আমি কিছু মনে করি না। কারণ আমি সব সময় সুখী থাকতে চাই।