প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। এ দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতকে উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য কক্সবাজারকে দিয়েছি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক। এ পার্ক প্রতিষ্টা হলে এতদ অঞ্চলের হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্প কারখানা। বিশেষ করে এখানে প্রতিটি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ প্রয়োজন। এদেরকে এগিয়ে আসার জন্য আমি আহবান জানাচ্ছি। তাদের জন্য এখানে রাখা হবে বিশেষ ব্যবস্থা।
তিনি ২৮ ফেব্রুয়ারী সকালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাথে টেকনাফ সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনের ঘোষনায় সকাল থেকে হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এ উপলক্ষে এক সপ্তাহ ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে মঞ্চ, ভিডিও কনফারেন্সের পর্দা, অনুষ্ঠানের স্তলে যাতায়তের সড়কের ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পন্ন করে। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে উপস্থিত হলে সাবরাং এলাকার লোকজন পর্দার মাধ্যমে দেখতে পেয়ে করতালি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগতম জানায়। এ সময় উখিয়া-টেকনাফ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্জ্ব আব্দুর রহমান বদি, কক্সবাজার-রামু আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহম্মদ, জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ, টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আলহাজ্জ্ব আবুজার আল জাহিদ, কোষ্টগার্ডের টেকনাফ ষ্টেশন অফিসার লেঃ মোঃ মামুন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা বারের সভাপতি এডভোকেট আহম্মদ হোসেন, জেলা পর্যায়ের উর্ধতন কর্মকর্তা, টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব জাফর আহম্মদ, টেকনাফ পৌর মেয়র হাজী মোঃ ইসলাম, টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ শফিউল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ ইকবাল, টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মজিদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর কাউন্সিলর সহ উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা , রাজনৈতিক নের্তৃবন্দ, জনপ্রতিনিধি,গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ও মিডিয়া কর্মিগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর উখিয়া-টেকনাফ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জেলা উপজেলার সকল রাজনৈতিক নের্তৃবন্দ ও প্রশাসন কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে ফলক উন্মোচন ও মোনাজাত করেন।