কক্সবাজারের মহেশখালীতে দেশের প্রথম এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে এবার এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে ‘টার্মিনাল ইউজ এগ্রিমেন্টে’ অনুস্বাক্ষর করেছে পেট্রোবাংলা।
সব ঠিক থাকলে ২০১৮ সালের শুরুর দিকেই জাহাজে করে আমদানি করা গ্যাস এই টার্মিনাল হয়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার কারওয়ানবাজারে পেট্রোবাংলার কার্যালয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত এ কোম্পানির সচিব সৈয়দ আশফাকউজ্জামান এবং এক্সিলারেট এনার্জির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার (এশিয়া) কার্লমেন থার্ম এই চুক্তিতে অনুস্বাক্ষর করেন।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক অ্যাস্ট্রা ওয়েল অ্যান্ড এক্সিলারেট এনার্জি কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশে এ প্রকল্পে কাজ করবে ‘এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ’ হিসেবে। এর আগে ২০১৪ সালের ২৬ জুন তাদের সঙ্গে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ চুক্তিতে অনুস্বাক্ষর করে পেট্রোবাংলা।
প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ঘন মিটার এলএনজি ধারণর এই টার্মিনাল থেকে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে।
টার্মিনাল নির্মাণ ও অন্যান্য খরচ হিসেবে এক্সিলারেট এনার্জিকে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের জন্য ৪৯ সেন্ট করে দিতে হবে পেট্রোবাংলাকে। তবে অন্যান্য খরচ যোগ হয়ে এটি ৫৯ সেন্টের মতো দাঁড়াবে।
টার্মিনালটি নির্মাণে বিদেশি এ কোম্পানি প্রায় ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সমুদ্রে মধ্যে ভাসমান একটা জাহাজ থাকবে। আরেকটা জাহাজ সেখানে লাগবে। এলএনজি আসবে। সেগুলো সমুদ্রের পাইপ লাইন দিয়ে নেওয়া হবে। এতোগুলা কাজ হবে…।”
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জ্বালানি সঙ্কট মোকাবেলায় কক্সবাজারের মহেশখালীতে লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল তৈরির উদ্যোগ নেয়। কিন্তু নানা জটিলতায় ওই মেয়াদের পাঁচ বছরেও তার বাস্তবায়ন শুরু করা যায়নি।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর মধ্যে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ৩-৪ মাস স্টাডি করতে সময় লাগবে। এটা হওয়ার পরে কাজ শুরু হবে। এলএনজি আনার কাজ রয়েছে। সেগুলো আমরা করছি।”
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ২০১৮ এর প্রথম প্রান্তিকেই টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ করা যাবে বলে তারা আশা করছেন।