মহেশখালীতে বাস্তবায়নাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প ও অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে স্থানীয় জনসাধারণকে কর্মসংস্থানের আওতায় আনা এবং এলাকার শিক্ষিত তরুন সমাজকে বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মসংস্থান উপযোগী ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার দরকার। এই লক্ষ্যে ওই এলাকায় একটি টেকনিক্যাল স্কুল বা ইন্সস্টিটিউট স্থাপন করা যেতে পারে। রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বাস্তবায়নের জন্য এই সুপারিশ উপস্থাপন করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, মহেশখালী উপজেলায় ১০ হাজার ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে জাইকার অর্থায়নে বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ মোট ৩টি বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ৮ হাজার ৪শ’ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। এছাড়াও ৪টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য প্রায় প্রস্তাবিত ১২ হাজার একর এবং গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন স্থাপন, সিংগেল পয়েন্ট মুরিং, কোস্টগার্ড এবং নৌ-বাহিনীর জন্য বিপুল পরিমান জায়গা অধিগ্রহন করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমান জায়গা অধিগ্রহনের ফলে ওই এলাকার কৃষি ও ভূমি নির্ভর অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ও জীবন জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন সাধিত হবে সে পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য মোকাবেলার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন সুপারিশ করেন, অধিগ্রহনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের লক্ষে যে কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে তাতে বরাদ্দকৃত অর্থের একটি অংশ ওই এলাকার মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মসংস্থানের উপযোগী করে গড়ে তোলা এবং বিষয়ভিত্তিক ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা/উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও অধিগ্রহন প্রক্রিয়ায় স্থানীয় জনগণ এবং স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ও কর্মশালা আয়োজন করা ও এ সংক্রান্ত বিধি/পরিপত্র জারি করার ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পের জমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়ার শুরুতে স্থানীয় জনগণকে অবহিতকরণ বা সম্পৃক্তকরণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে জনরোষ তৈরী হয়। ফলশ্রুতিতে অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের অধিগ্রহন প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়।