মহেশখালীর গোরকঘাটা ও কালারমারছড়া জনতা বাজার সড়কের হোয়ানক কালাগাজী পাড়া সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণরত ব্রীজের পাশে বিকল্প সড়কের ব্রীজ খুলে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হেেয়ছে। ফলে খুলে যাওয়া ব্রীজের উভয় পাশে আটকা পড়েছে শতাধিক পন্যবাহী যানবাহন।
সোমবার সকাল থেকে ওই সড়কে এ অবস্থার সৃষ্টি হলেও সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেননি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মূল সড়কের ব্রীজ নির্মাণকাজ শুরু করার আগে তৈরী করা বিকল্প সড়কের ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে দূর্বল ভিত্তির উপর। ফলে বিকল্প এ সড়কের উপর তৈরী ব্রীজের উপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে সোমবার সকালে বিকল্প সড়কের ওই ব্রীজটি খুলে নিলে উভয় পাশে আটকা পড়ে পন্যবাহী শতাধিক ট্রাক ও জীপগাড়ী। কাউকে অবহিত না করে হঠাৎ ব্রীজটি খুলে ফেলায় এ দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
সৃষ্ট এ দূর্ভোগকে কেন্দ্র করে কতিপয় যানবাহন চালকরা সাধারণ যাত্রী ও পন্যবহনকারীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ছনখোলা পাড়ার বাসিন্দা হাজী ছৈয়দ আহামদ জানান, নির্মাণরত ব্রীজের পাশে বিকল্প সড়কটি দিয়ে ট্রাকতো তো দূরের কথা একটি জীপগাড়ীও চলাচল অনুপযোগী। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দূর্নীতির কারণে এ জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
মহেশখালী বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসাইন জানান, ঠিকাদারের লোকজন দূর্ণীতির আশ্রয় নিতে মানুষের জানমাল ও চলাচলে দূর্ভোগের কথা চিন্তা করেনি। উপযুক্ত বিকল্প সড়ক তৈরী না করে কেন ব্রীজ খুলেছে এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্টান শওকত কনষ্ট্রাকশন কর্তৃপক্ষের উপ-ঠিকাদার মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, বিকল্প সড়ক তৈরী করা ও কার্যকালীন সময় পর্যন্ত এর রক্ষণাবেক্ষনও আমাদের দায়িত্ব নয়। সড়ক ও জনপদ বিভাগ ব্রীজ খুলে দেওয়ার পর আমরা কাজ শুরু করেছি।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আবুল কালাম জানান, দ্রুত যানবাহন চলাচল উপযোগী বিকল্প সড়ক তৈরী করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের সাথে যোগাযোগ কথা হয়েছে।