মহেশখালীর সোনাদিয়ার চরে তরমুজ চাষের বাম্পার ফলন বদলে গেছে অন্তত ৫০ পরিবারের ভাগ্য। বাম্পার ফলন অন্যদিকে বেশি দামে বিক্রি হওয়ায় চাষীদের মুখে হাঁসি ফুটেছে। ২০০৪ সালে সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দারা অন্তত ২০ জন মিলে অনাবাদি চর এলাকায় তরমুজ চাষ শুরু করেছিল।
সেই সময় থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত চাষ অব্যাহত রয়েছে। প্রথমে তরমুজ চাষের অভিজ্ঞতা না থাকায় এ চাষে তেমন ভালো ফলন ফলাতে পারেনি এরপর ও হাল ছাড়েনি চাষিরা।
চাষীদের উদ্যমতা দেখে ২০০৭ সাল থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর দ্বীপের লোকজনের বিকল্প আয়ের পথ হিসেবে তরমুজ, খিরা, শাকসবজি, কাকড়া সহ বিভিন্ন ধরণের চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য স্থানীয় জনগণকে উদ্বুধ করে এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে আদর্শ চাষী হিসাবে গড়ে তুলে।
প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর স্থানীয় লোকজন তরমুজ চাষের দিকে ঝুকেঁ পড়ে। গেল সেশনে একই এলাকার ৪০জন তরমুজ চাষ করে লাভবান হওয়ায় এ বছরে আরো বেশি চাষ করছে।
চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গত বছরের চেয়ে এ বছর তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। আর সপ্তাহ দুই দিন ক্ষেত থেকে চাষীরা তরমুজ উত্তোলন করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে পায়কারি দরে বিক্রি করে। পরে ক্রেতারা (ব্যবসায়ীরা) নৌকা ও গাড়ী যোগে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে চড়া দামে বিক্রি করে দ্বিগুন টাকা লাভ করে।
পশ্চিম পাড়ার তরমুজ চাষী আব্দুল শুক্কুর জানান, অর্ধ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চরের ১ একর অনাবাদি জায়গায় তরমুজ চাষ করে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মত লাভবান হয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামসুল আলম জানান, তরমুজ খেত চাষ একটি লাভ চাষ চলতি মৌসুমে পরিবেশ অনুকূলে থাকায় চাষীরা ভাল ফলন ফলাতে পেরেছে এবং চড়া দাম ও পেয়েছে যার দরুন তরমুজ চাষীরা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশী স্বাবলম্বী হয়েছে।
আগামীতে আরো ভাল ফলন ফলানোর জন্য চাষীদের উন্নত মানের প্রশিক্ষন এবং সরকারী ভাবে সকল প্রকারের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।