জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপর প্রায় সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানান বিপদ নেমে আসে। সবুজ প্রকৃতি জলাভূমি নষ্ট করার ফলে এ বিপদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে জলাভূমি, জলাধারসহ সকল প্রকারের জীব বৈচিত্র রক্ষা করতে হবে। একই সাথে প্রকৃতিকে রক্ষার মাধ্যমে নতুন সবুজের বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনা আজ সময়ের দাবি। ক্লাইমেট-রেজিলিয়েন্ট ইকোসিস্টেমস এন্ড লাইভলিহুডস (ক্রেল) প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত বিশ্ব জলাভূমি দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। এছাড়াও সোনাদিয়া কে রামসার এলাকা ( সংরক্ষকিত জলাভূমি ঘোষণা) করার দাবী করা হয় আলোচনা সভা থেকে।
“ভবিষ্যতের জন্য জলাভূমি” এই স্লোগানে কক্সবাজারে মহেশখালীর সোনাদিয়ায় ইউএসএইড এর ক্রেল প্রকল্পের উদ্যোগে গতকাল ২ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। র্যালি, আলোচনা সভা, কুইজ প্রতিযোগীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মহেশখালী ডিগ্রী কলেজ, মহেশখালী সসরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মহেশখালী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়, গোরকঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্র ছাত্রীসহ সাংবাদিক, শিক্ষক, সরকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে কাছিম হ্যাচারী, বিলুপ্ত প্রজাতীর পাখি পর্যবেক্ষন করা হয়। বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে সোনাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মঠে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল গফুর নাগুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখেন ক্রেলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শফিকুর রহমান। ক্রেলের সাইট অফিসার আব্দুল কাইয়ুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জলাভূমি দিবসের মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন ক্রেলের ব্রাঞ্চ অফিসার হেলাল উদ্দীন, মহেশখালী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দীন, সাংবাদিক মোহাম্মদ শাহাব উদ্দীন, সোনাদিয়ার বিট কর্মকর্তা রেজা লতিফ, সাংবাদিক মাহবুব রোকন, বিট কর্মকর্তা আব্দুর জব্বার, সাংবাদিক আমিনুল হক, ক্রেলের সাইট অফিসার তপন কান্তি দে , সাইট অফিসার ফরহাদ আল মাহমুদ, সাংবাদিক ফরিদুল আলম দেওয়ান, আবু তাহের, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরুল আমিন, ফ্যাসিলিটেটর গোলাম মোস্তাফা প্রমুখ।