গত বছর ১১ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাশরাফিরা শেষ ওয়ানডে খেলেছেন। গত অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া দলের সফর বাতিল হওয়ায় বিসিবি জিম্বাবুয়েকে অতিথি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য।
সেই সিরিজ হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এক রকম দূরেই আছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। তবে আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকেই বড় একটা ক্রিকেট-যজ্ঞে প্রবেশ করবে দলটি।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ, এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পরপর অনুষ্ঠিত হবে। তবে, এরপরই লম্বা একটা সময় ফাকা! টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নভেম্বর পর্যন্ত সীমিত ওভারের কোনো খেলা নেই বাংলাদেশের। মে মাসের পর ঘরোয়া ক্রিকেটেও সীমিত ওভারের খেলা থাকছে না।
তখন কর্মহীন একজন মানুষ হয়ে পড়তে পারেন মাশরাফি। বাংলাদেশ সীমিত ওভারের দলনেতার জন্য আরো দুঃসংবাদ হলো- পুরো ১ বছর আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলবেন না তারা।
এর অর্থ হচ্ছে ছয় মাসেরও বেশি সময় বাধ্য হয়েই মাঠের বাইরে থাকতে হবে মাশরাফিকে। বাংলাদেশ দলের পরবর্তী আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ এ বছর নভেম্বরে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০১৬ সাল এভাবেই সাজানো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এফটিপি বা ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম।
ম্যাচ না খেলে এই লম্বা সময় মাশরাফি কাটাতে চান না। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সবকিছু এমনভাবে সাজানো যে, বেশি কিছু করার নেই। তবে আশা করব, বিসিবি আমাদের জন্য কিছু ম্যাচের ব্যবস্থা করবে। কারণ, আমরা ভালো ছন্দে আছি। ছন্দটা ধরে রাখতে এবং পয়েন্ট বাড়াতে হলে ম্যাচ লাগবে এবং জিততে হবে। যারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রয়েছেন, তারা এটা জানেন এবং সেভাবে চেষ্টাও করছেন নিশ্চয়ই।’
তবে, আশার কথা হল এ বছর জুন-জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে বা অন্য কোনো দলের বিপক্ষে সীমিত ওভার ম্যাচের সিরিজ আয়োজন করা হতে পারে বলে জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।