জাতিসত্ত্বার কবি নুরুল হুদা বলেছেন, স্থান না বাড়লেও আগের তুলনায় এখন বই মেলা বেড়েছে। বেড়েছে পড়ার সমাগমও। মানুষকে বই পড়ে শক্তিশালী হতে হবে। মানুষের মানবতা এখন কমে গেছে। মানবতাকে ফিরিয়ে আনতে হলে বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। যতদিন মানুষের চোখ থাকতে ততোদিন বই দেখবে, যতোদিন হাত থাকবে ততোদিন বই উল্টিয়ে দেখবে। একটি ভালো বই যে কেউ প্রেমিকার মতো মায়ের মতো ভালোবাসবে। একটি লাইন একটি কবিতা একটি গল্প লিখেই বই লেখা যায়। আর কবিও হওয়া যায়। কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরী (শহীদ দৌলত ময়দান) মাঠে সপ্তাহব্যাপী বই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ মোঃ আলী হোসেন’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আনোয়ারুল নাছের, কক্সবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন, দৈনিক কালের কন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার এডভোকেট তোফায়েল আহমদ, সহকারি পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান রাসেল ও বই মেলা আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব এড. তাপস রক্ষিত।
বুধবার বিকাল ৪ টায় শিহাব উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যে ও আয়াছ মাহামুদের সঞ্চালনায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী মেলায় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনার সমিতির আয়োজনে গত ৩১ মার্চ বই মেলা শুরু হয়।
‘চেতনার জাগরনে বই’ স্লোগানে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৩৬ টি প্রকাশনা কক্সবাজারের এই বই মেলায় অংশ গ্রহণ করেন।
বুধবার মেলার সমাপনী দিনে সর্বোচ্চ বই সংগ্রহকারী দুজন ব্যক্তির মাঝে পুরস্কার দেন অতিথিরা। পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন, কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যাপক দিদারুল আলম ও বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের অধ্যক্ষ ইয়াছিন আরফাত।
আর সর্বোচ্চ বই সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানের মাঝে পুরস্কার জিতেন ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার বই সংগ্রহ করে বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমী, কক্সবাজার সিটি কলেজ ও টেকনাফ লম্বরী মলকা বানু উচ্চ বিদ্যালয়।