মার্চের বেতনের সঙ্গেই ‘বৈশাখী ভাতা’ পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এর পরিমাণ হবে মূল বেতনের ২০ শতাংশ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, ‘বৈশাখী বোনাসে’র জন্য আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে না। কেননা অষ্টম পে স্কেলে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে উৎসব ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। মার্চের বেতনের সঙ্গে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে বাঙালির একমাত্র অসাম্প্রদায়িক ও সর্বজনীন উৎসব শুরুর আগেই বোনাসের ‘বাড়তি’ টাকা হাতে পেয়ে যাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীরা দুই ঈদে বছরে দুটি উৎসব ভাতা পান। তার সঙ্গে নতুন করে বাংলা নববর্ষ নামে আরেকটি ভাতা এই প্রথমবারের মতো যুক্ত করে সরকার। চলতি বছর থেকেই এটি কার্যকর হচ্ছে। প্রতি বাংলা নববর্ষে তা দেওয়া হবে। বর্তমানে সামরিক-বেসামরিক, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান মিলে সরকারি চাকরিজীবীদের সংখ্যা প্রায় ২১ লাখ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈশাখী ভাতা বাবদ সরকারের ‘অতিরিক্ত’ ব্যয় হবে ৫৫০ কোটি টাকা।
নতুন পে স্কেল গত জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এই অর্থবছরে বর্ধিত ‘মূল বেতন’ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ জুলাই নতুন অর্থবছর শুরু হলে বর্ধিত মূল বেতনের পাশাপাশি অন্যান্য ভাতা পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। নতুন পে স্কেল অনুযায়ী, একজন সচিবের মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা। এ হিসাবে তিনি বৈশাখী ভাতা পাবেন ১৫ হাজার ৬০০ টাকা। একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর মূল বেতন ৮ হাজার ২৫০ টাকা। তিনি বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পাবেন ১ হাজার ৬৫০ টাকা।
পে কমিশনের মূল প্রতিবেদনে বৈশাখী ভাতার সুপারিশ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এটি চালু করা হয়। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর নতুন পে স্কেলের গেজেট প্রকাশের সময় তা কার্যকরের কথা বলা হয়।