তবে ইতিপূর্বে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওই হামলায় সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো যোগসূত্র নেই বলে দাবি করেছিল দেশটির পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিক আইএসের পক্ষে লড়াই চালানোর জন্য সিরিয়ায় পাড়ি জমানোয় দেশটির কর্তৃপক্ষ আইএস সম্পর্কিত আরও হামলার আশঙ্কা করছেন।
মালয়েশিয়ার জাতীয় পুলিশ প্রধান খালিদ আবু বকর সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই হামলায় আইএসের যুক্ত থাকার উপাদান রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনুসন্ধানে জানতে পেরেছি, ওই দুই ব্যক্তি (গ্রেপ্তার) সিরিয়া থেকে মালয়েশিয়ার একজন নাগরিকের কাছ থেকে দেশে (মালয়েশিয়া) হামলা চালানোর নির্দেশনা পেয়েছেন।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মালয়েশিয়ায় উগ্রজঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার সন্দেহে ডজনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক গ্রেনেড হামলায় সন্দেহভাজন অনেকের সঙ্গে ১৩ জন মালয়েশিয়ার নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া মালয়েশিয়ার এই নাগরিকেরা সরাসরি এই হামলার সঙ্গে জড়িত নন।
গেল ২৮ জুন সকালে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর সংলগ্ন শহরটির মোভিদা পানশালায় বসে ইউরো ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা দেখছিলেন ক্রেতারা। ওই সময় গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়।
ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সেলানগর রাজ্য পুলিশের উপপ্রধান আব্দুল রহিম জাফর বলেছিলেন, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব, প্রতিশোধ বা টার্গেট কিলিং হামলার উদ্দেশ্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘হামলার সঙ্গে কারা জড়িত তা বের করতে তদন্ত করছি আমরা। তবে হামলার মোটিভ ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব, প্রতিশোধ বা যারা আহত হয়েছেন তাদের একজন বা একাধিকজনকে হত্যার লক্ষ্যে হয়ে থাকতে পারে।’
২০১৪ সালে কুয়ালালামপুরের একটি পানশালার বাইরে একই ধরনের বোমা হামলায় ১ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছিলেন।