মা ইলিশ সংরক্ষণে ইলিশ মাছ আহরণ ১৫ দিনের পরিবর্তে ২২ দিন করার সুপারিশ করেছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সংসদ ভবনে রবিবার অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশা।
মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক, প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু, খন্দকার আজিজুল হক আরজু, মুহাম্মদ আলতাফ আলী এবং সামছুন নাহার বেগম বৈঠকে অংশ নেন। মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। প্রতিবেদনটিতে ১৫ দিনের পরিবর্তে এক মাস ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা হলে চারটি সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। তা হলো: সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ইলিশ প্রজনন ও আহরণের ভরা মৌসুমে ১ মাস ইলিশ ধরা বন্ধ রাখা হলে ইলিশ আহরণ/প্রাপ্তি অর্থ্যৎ উৎপাদন অনেক কমে যাবে। সেইসঙ্গে ভোক্তারা ইলিশ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে এক মাসব্যাপী অবাধে ইলিশ ডিম ছাড়লে। কাঙ্ক্ষিত প্রাকৃতিক খাদ্য ও আবাসস্থল সংকটের কারণে মাছের স্বাস্থ্য, আকার ও ডিম ছাড়ার সক্ষমতা হ্রাস হতে পারে। এছাড়া দীর্ঘ সময়ের জন্য জেলে/ব্যবসায়ীদের জীবন জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন দুরূহ ও ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে।
কমিটি মা ইলিশ সংরক্ষণের সময়সীমা একমাস না করে ২২ দিন করার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার জন্য সুপারিশ করে।