মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে পলিথিন আসছে। চোরাই পথে আসা পলিথিনের কারনে দেশিয় শিল্প প্রতিষ্টানের উৎপাদিত পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত গঠন করে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, মেয়াদ উর্ত্তীণ পণ্যে সামগ্রী বিক্রি সহ যত্রতত্র ভাসমান দোকান পাট উচ্ছেদে তাৎক্ষনিক জেল জরিমানা করলে ও মিয়ানমারের তৈরি পরিবেশ বিরোধী পণ্যে বিক্রি ব্যবহারের উপর কড়াকড়ি আরোপ না করায় সচেতন মহলের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
সরেজমিন উখিয়ার ব্যস্ততম এলাকা সোনার পাড়া, মরিচ্যা, কোটবাজার, উখিয়া সদর ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি খুচরা পণ্যে বিক্রেতার কাছে মজুত রয়েছে বিভিন্ন চাইজের পলিথিন। বিশেষ করে তরি তরকারি, মোয়ামুড়ি, মাছ মাংস ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রেতারা নিষিদ্ধ পলিথিন নির্ভর হয়ে বেচা বিক্রি করছে।
জানতে চাইলে মাছ বিক্রেতা হিমাংস বড়–য়া জানান, পলিথিনের প্যাকেট না দিলে মাছ বিক্রি হচ্ছেনা বিধায় বাধ্য হয়ে পলিথিন রাখতে হচ্ছে। এ সব পলিথিন কোথা থেকে সংগ্রহ করেন জানতে চাইলে ওই মাছ বিক্রেতা জানায় কথিপয় ব্যক্তি বাজারে এসে পলিথিনের প্যাকেট সরবরাহ করছে।
উখিয়া বাজারে একজন পলিথিন বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, এ সব পলিথিন চোরা কারবারীরা তাদের কাছে নিয়মিত সরবরাহ করে থাকে।
পরিবেশ বাদীদের মতে, যত্রতত্র পলিথিন ব্যবহারের ফলে এ সব পলিথিন ময়লা আবর্জনার সাথে নাল নর্দমায় আটকে গিয়ে পরিবেশ দূষণ করছে। পাশা পাশি বর্ষার সময় পলিথিনের বর্জ্য কৃষি জমিতে পড়ে অক্ষয় অবস্থায় থাকছে। যার ফলে অর্থকরি ফসল কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন আশানুরুপ হচ্ছেনা। পরিবেশবীদদের তথ্যমতে, পলিথিনের জাবতীয় বর্জ্য বর্ষাকালে খাল নদি ছরা ব্যয়ে সরাসরি সমুদ্রতে গিয়ে পড়ছে। পরে এ সব পলিথিনের বর্জ্য লবনাক্ত পানির সাথে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। আবার লবন চাষিরা সমুদ্রের লবনাক্ত পানি দিয়ে তৈরি করছে রান্ন বান্নার অন্যতম উপাদান লবন, যা খাবারের সাথে মিশে এ সব পলিথিন মিশ্রিত লবন মানব দেহে প্রবেশ করছে। এতে বিভিন্ন রোগব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে ¤œুষ অকালে মৃত্যুবরন করলে ও পলিথিন ব্যবহারে কেউ সতর্ক হচ্ছেনা। সম্প্রতি কোটবাজার দোকান মালিক সমিতি সহ বিভিন্নস্থরের লোকজনদের সাথে মতবিনিময়কালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃমাঈন উদ্দিন পলিথিন ব্যবহার ও বাজার জাতকরন বন্ধে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন। এ সময় তিনি বলেন, পলিথিন বিক্রির অপরাধে জেল জরিমানা সহ উভয় শাস্তি বিধিবিধান রয়েছে।