কাল রাতে বিরতিহীন বৃষ্টি ভয় পাইয়ে দিয়েছিল, বাংলাদেশকে না মাঠে অনুশীলন না করেই হল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নেমে পড়তে হয়! আজ সকাল থেকে ঝকঝকে রোদে সেই আশঙ্কা উধাও। সকাল ১০টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে নিজেদের ঝালিয়ে নিলেন মাশরাফিরা।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় চার হাজার ফিট উঁচু ধর্মশালা যে একটু ভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেখা দেবে, সেটিও বোঝা হয়ে গেল এতে। সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বললেন, ‘এমনিতে ভারতের বেশির ভাগ জায়গা তো বাংলাদেশের মতোই। কিন্তু এখানে পুরোই অন্যরকম। কাল রাতে এমন ঠান্ডা লাগল, আজ দিনের বেলায় আবার বেশ গরম। মাঠে দৌড়ানোর সময় শ্বাস নিতে একটু সমস্যা হচ্ছিল।’
সমস্যাই বটে। তবে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার আনন্দের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে মেনে নিতে হচ্ছে এটিকে। ম্যাচে কঠিন কোনো পরিস্থিতি দেখা দিলে এর সঙ্গে যদি আবার শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার সমস্যা যোগ হয়, এ ভেবে মাশরাফি একটু চিন্তিতও।
একটা চিন্তা থেকে অবশ্য মুক্তি পেয়ে গেছেন। ‘মুক্তি’ একটু অন্য অর্থে। মুস্তাফিজুর রহমান যে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারছেন না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে গেছেন। চিন্তা করে আর লাভ কী! চোটের কারণে এশিয়া কাপের দল থেকে ছিটকে পড়েছিলেন। সেই চোট এখনো মুস্তাফিজের সঙ্গী। নেটে বাকি বোলাররা যখন বোলিং করছেন, মুস্তাফিজ একটা বল হাত নিয়ে দূর থেকে তা দেখে গেলেন। কিছুক্ষণ পর ফিজিও আর ট্রেনারের সঙ্গে অনেকক্ষণ সময় কাটালেন। দুজনের সযত্ন দৃষ্টির সামনে যা করলেন, পরিষ্কার বোঝা গেল সেটি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ।
সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে মুস্তাফিজুরের না-খেলার কথা বলেননি মাশরাফি। তবে বাংলাদেশ দলের নেট যাঁরা দেখেছেন, মুস্তাফিজ যে খেলবেন না এটা তাঁদের বোঝা হয়ে গেছে।