বার্সেলোনায় নেইমার ও লুইস সুয়ারেজ, আর্জেন্টিনায় আগুয়েরো-হিগুয়েইন-ডি মারিয়া। আক্রমণে লিওনেল মেসির যোগ্য সঙ্গীর অভাব নেই। ক্লাব বার্সেলোনার আক্রমণ-ত্রয়ীকে বলা হচ্ছে ফুটবল ইতিহাসেরই সবচেয়ে ভয়ংকর সুন্দর আক্রমণভাগ। জাতীয় দল আর্জেন্টিনায় ওরকম কিছু না হলেও অন্তত এ সময়ের সেরা তো বটেই।
দুটি আক্রমণভাগেই মেসির সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলতে পারবেন—আগামীর তারকাদের মধ্যে এমন কারও নাম যদি বলতে হয়? একটা নামই পাওয়া যাচ্ছে—পাওলো ডিবালা!
জুভেন্টাস ফরোয়ার্ডকে বলাই হচ্ছে মেসি ও আগুয়েরোর মিশেল। ইতালিয়ান ক্লাবটি তাঁকে দেখছে ভবিষ্যতের কান্ডারি হিসেবে। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলেও স্বপ্নটা একই। নতুন এই বিস্ময় ডিবালার পায়েই তারা বুনছে আগামী দিনের স্বপ্ন। কিন্তু সেই ডিবালার চাওয়া কী? খুব বেশি অস্বাভাবিক অবশ্য নয়—আর্জেন্টিনার বর্তমান কান্ডারি মেসির পাশে খেলতে চান। অবশ্য এই চাওয়া শুধুই জাতীয় দলে নাকি ক্লাব ফুটবলেও সেটি পরিষ্কার করে জানাননি ডিবালা।
২২ বছর বয়সেই যেভাবে ফুল ফোটাতে শুরু করেছেন, চাওয়াটা অপূর্ণ থাকবে না বেশি দিন। জুভেন্টাসের মতো বড় ক্লাবের ভার নিয়ে নিয়েছেন প্রথম মৌসুমেই। লিগে আগের ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন, জোড়া গোল করিয়েছেনও। পরশু তাঁর গোলে আবারও জিতল জুভেন্টাস। ৭৭ মিনিটে গোলটা না করলে লিগে জুভদের টানা জয়রথটা ১০ ম্যাচে থেমে যেত। সব মিলিয়ে এরই মধ্যে করেছেন ১৪ গোল। অথচ পুরোদস্তুর স্ট্রাইকার তিনি নন।
জাতীয় দলে এরই মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। তিনটি ম্যাচও খেলেছেন। যদিও এক ম্যাচেও মেসির পাশে খেলা হয়নি। চোটের কারণে মেসি সে সময় দলের বাইরে ছিলেন। শুধু জাতীয় দল? ভবিষ্যতের কথা ভেবে এরই মধ্যে ডিবালাকে দলে ভেড়ানোর ভাবনাও নাকি শুরু করে দিয়েছে বার্সেলোনা। ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর তা-ই।
পরশু রোমার বিপক্ষে তাঁর দারুণ গোলটি মাঠে বসেই দেখেছেন বার্সেলোনার স্পোর্টিং ডিরেক্টর রবার্ট ফার্নান্দেজ। এ থেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিচ্ছে ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম। তবে ম্যাচ শেষে ডিবালা এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হলেন না, ‘সত্যি বলতে আমি জানতাম না বার্সেলোনার কেউ দর্শক গ্যালারিতে আছে। সবকিছু আমার জন্য বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছে। ভবিষ্যতে দেখাতে চাই আমরা আরও ভালো করতে পারি।’
এরপরই বললেন মেসির সঙ্গে খেলতে চাওয়ার সেই ইচ্ছার কথা। মেসির বিপক্ষে খেলতে চান কি না—সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবটা সঙ্গে সঙ্গে দিলেন, ‘না, আমি মেসির সঙ্গে খেলতে চাই!’ সূত্র: স্পোর্ত।