ডিবিসি ডেস্ক
সারা দেশের মতই দিনাজপুর-২ আসনেও চলছে সংকটকালীন খাদ্য সহায়তা প্রদান কার্যক্রম। সেখানে ২০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী। যতদিন প্রয়োজন ততদিন এই কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও দিনাজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
ইত্তেফাককে তিনি বলেন, সরকারিভাবে ৪ ধাপে সহায়তা করা হয়েছে। পঞ্চম ধাপে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। দুই উপজেলায় (বিরল-বোচাগঞ্জ) ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব নিয়ে এই সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তবে প্রতিদিন সংকটে পড়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
এই সংকটে পড়া কতজনকে সহায়তা প্রদান করা হবে জানতে চাইলে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটা কি বলা সম্ভব? এই অবস্থা কতদিন চলবে তা কী আমরা জানি? প্রতিদিন আমাদের তালিকায় নতুন করে মানুষ যুক্ত হচ্ছে। তাদেরকে আমরা সহায়তা প্রদান করছি। যতদিন সম্ভব, ততদিন এই সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। যত মানুষ সংকটে পড়বে তত মানুষকে এই সহায়তার আওতায় আনা হবে।
এ সময় তিনি নিজ এলাকায় পাওয়া প্রথম করোনা রোগীর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে এক ব্যক্তি আমাদের এখানে এসেছে। তার শরীরে গতকাল (শুক্রবার) করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। তাকে আমরা আইসোলেশনে রেখেছি। সেই সঙ্গে তার সংস্পর্শে আসা সকলের তালিকা করে তাদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়াও এই এলাকায় যারা নতুন করে প্রবেশ করেছে তাদের প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
সংকটের এই মুহূর্ত মোকাবেলায় নিজ এলাকার সকলকে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করেন নৌ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিয়মিত সকলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং শুনবেন। তাদের নির্দেশনা অনুসরণ করবেন। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী যেই নির্দেশনা প্রদান করেছেন তা মেনে চলতে হবে। বর্তমান সময়ে এই নির্দেশনাগুলো মেনে চলা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এর মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি আমরা সকলকে সুস্থ রাখতে পারব। যত বেশি আমরা এই নির্দেশনা অনুসরণ করব, তত দ্রুত এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পাবো। ###