রঙ্গীখালী স্কুলের বাথরুম থেকে অনৈতিক অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষিকা উদ্ধার
ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
আপডেট সময়
শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৬
২৪০
বার পড়া হয়েছে
টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গীখালী সরকারী প্রাইমারী স্কুলের বাথরুম থেকে অনৈতিক অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষিকাকে উদ্ধার করেছেন অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী। ২৮ এপ্রিল বিকালে টেকনাফ উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর বলেন ফোনে অভিযোগ পেয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার আশীষ বোস সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মুহিববুল্লাহকে জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশক্রমে তাৎক্ষণিক বদলী করা হয়েছে। সরকারী প্রাইমারী স্কুলে কর্মরত ২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার এহেন মারাতœক অপকর্মে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বশির আহমদ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন। জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা রঙ্গীখালী সরকারী প্রাইমারী স্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত নাইক্ষ্যংখালী গ্রামের বাসিন্দা মুহিববুল্লাহ ও হ্নীলা পুরানবাজার গ্রামের বাসিন্দা ফারহানা আক্তারের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে অনৈতিক সম্পর্ক চলে আসছিল। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, অভিভাবক, স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থী সুত্রে জানা যায়, উক্ত ২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রায় সময় এক সাথে বাথরুমে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ পর ফিরেন। ২৭ এপ্রিল দুপুরেও একই ঘটনা ঘটলে বাথরুমের দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়। অভিভাবক, স্থানীয় এলাকাবাসী জড়ো হয়ে তাদেরকে বাথরুম থেকে উদ্ধার করেন। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মুহিববুল্লাহ বিবাহিত, ৩ কন্যা সন্তানের জনক বলে জানা গেছে। ২৮ এপ্রিল রাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তাহেরা আক্তার বলেন স্কুলটিতে মোট ৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত। ঘটনার দিন আমি ইউআরসিতে ট্রেনিংয়ে ছিলাম। সহকারী শিক্ষক নুরুল আলমসহ ৩ জন স্কুলে উপস্থিত ছিল। যাচাই করে অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মুহিববুল্লাহকে তাৎক্ষণিক বদলী এবং অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা ফারহানা আক্তারকে স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।