রমজান আসন্ন, বেড়েই চলেছে ছোলা, চিনিসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম। শুক্রবার ঢাকায় ভোগ্যপণ্যের প্রধান সমারোহ কারওয়ান বাজারে পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, মসলার বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হলেও চিনি, লবণ, ডাল, পেয়াজ, রসুন ও সুগন্ধি চালের বাজার বেশ চড়া। বাজারে সরবরাহ কম থাকায় মাছ ও ব্রয়লার মুরগির দামও খানিকটা বেড়েছে।
রমজান মাস শুরুর একমাস আগেই ইফতারিতে চাহিদার শীর্ষে থাকা ছোলার দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। এক ব্যবসায়ী বলেন, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলার দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা হয়েছে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মসুর ডালের দাম বাড়তি। মসুর ডাল মান ভেদে ১১০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা, মুগডাল ৮০ থেকে ১১০ টাকা, ডাবলি ৪৫ টাকা, মাসকলাই ১০০ টাকা, খেসারি ডাল ৭০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এখন থেকে ঠিক এক বছর আগে ঢাকার বাজারে ছোলা বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬২ টাকা। তখনও পণ্যটির বেশি দাম নিয়ে পর্যবেক্ষক মহলে উদ্বেগ ছিল। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির এই সময়ে মসলার বাজার স্থিতিশীল বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
চিনি ৫২ টাকা, পোলাও চাল ১০৫ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৪২০ টাকা, খাসির মাংস ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের এক আড়তদার জানান, বরগুনা, কক্সবাজার ও চাঁদপুর থেকে মাছের সরবরাহ কিছুটা কম। তবে এটা সাময়িক। সাগরে মাছ কম ধরা পড়লে বা পরিবহন ও অন্যান্য সমস্যার কারণে সরবরাহ কমে যায়। মাঝে মধ্যেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এই পাইকার জানান, মাঝারি আকারের কোরাল মাছ ৪শ টাকা, কৈয়া ভেটকি ৪৫০ টাকা, মহাশৈল ৩৫০ টাকা, পোয়ামাছ ২শ টাকা, চিংড়ি ৪শ টাকা, বাইলা ৫০০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি করছেন তিনি।
শাক সবজির দাম কিছুটা বাড়লেও এখন তা আবার সহনীয় পর্যায়ে ফিরে এসেছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
খুচরা বাজারে করলা ২০ টাকা, বেগুন ২৫ টাকা, পটোল ২০ টাকা, ঢেঁড়স ২০ টাকা, ঝিঙা, বরবটি, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, সজনা ৬০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মৌসুমি ফলের মধ্যে ছোট আকারের কাঁচাআম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায়। তবে লিচুর দাম বেশ চড়া। একশ লিচুর আঁটি বিক্রি হচ্ছে চারশ থেকে সাড়ে চারশ টাকায়।