রাঙামাটি জেলার ৪৯টি ইউপিতে তৃতীয় ধাপের পরির্বতে ষষ্ঠ ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার রাঙামাটি নির্বাচন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
রাঙামাটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন জানান, রাঙামাটি ১০টি উপজেলার ৪৯টি ইউনিয়নে নির্বাচনের সময় পরির্বতন করা হয়েছে। এসব ইউপিতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ভোটের সময়সূচী তৃতীয় ধাপ থেকে ষষ্ঠ ধাপে নেওয়া হয়েছে।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে গত রোববার মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় থাকলেও রাঙামাটি জেলার ১০ উপজেলার ৪৯ ইউপিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি। নির্বাচন কমিশনের এই সংক্রান্ত নির্দেশনা রাঙামাটি জেলা নির্বাচন অফিস ও সংশ্লিষ্ট রিটানিং অফিসারদের বরাবরে পাঠিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির প্রত্যন্ত ইউপিগুলোতে সশস্ত্র সন্ত্রসীদের অস্ত্রের ভয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি। এব্যাপরে প্রতিবাদ জানায় রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা অভিযোগ করে, রাঙামাটি জেলার ৪৯টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩০টি ও বিএনপি ২২টিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।
বাকি সবগুলো ইউপিগুলোতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস ও ইউপিডিএফ-এর সতস্ত্র প্রার্থীদের দখলে। ইচ্ছা থাকলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কোন নেতাকর্মীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেতে দিচ্ছে না আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো। রাঙামাটিতে আসন্ন ইউপি নির্বাচন মোটেও সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে তারা।
রাঙামাটি জেলা নির্বাচন অফিস তথ্য সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৪৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১২১জন, আওয়ামী লীগের মনোনীত ৩১জন, জাতীয়বাদী দল বিএনপির মনোনীত ২০জন, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মনোনীত ৫জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ৩জনসহ মোট ১৮০জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিল।
এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ৪০৩জন, এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্যপদে ৪৯টি ইউনিয়নে মোট ১হাজার ২শত ৮২জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়। মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলার ৪৯ টি ইউনিয়নে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের করার কথা থাকলেও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।