জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি বলেছেন, জয় বাংলা আওয়ামী লীগের শ্লোগান নয়, এ শ্লোগান ছিলো এদেশের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও মুক্তিকামী মানুষের। ১৯৭১ সালে দেশজুড়ে পাক হানাদার, রাজাকার, আলবদদের বর্বরতা রুখে দিতে এদেশের নারী-পুরুষ দুঃসাহসী ভূমিকা পালন করেছে। এদেশের ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের প্রতিশোধ নিতে হলে রাজাকার, আলবদরদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের ক্ষমা নেই।
রামুতে সাত দিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার ৬ষ্ঠ দিনের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলেও স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করে চলেছে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে এদেশে মুক্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে।
‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বীর বাঙ্গালীর ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার’ এ শ্লে¬াগানে রামুতে সাতদিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রামু-কক্সবাজার আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল ও রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন, প্রবীন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রবীর বড়ুয়া।
ছাত্র ইউনিয়ন কক্সবাজার জেলা শাখার সহ সভাপতি অর্পন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে আরো অংশ নেন, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এর কক্সবাজার প্রতিনিধি জাহেদ সরওয়ার সোহেল, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক তানভীর সরওয়ার রানা, কো চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা, মাষ্টার ফরিদ আহমদ, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম কবির, কবি তাপস মল্লিক, ছাত্র ইউনিয়ন কক্সবাজার জেলা শাখার সহ সভাপতি সৌরভ দেব, উদীচি সংগঠক বোরহান মাহমুদ প্রমূখ।
স্মৃতিচারণ শেষে বিজয় মঞ্চে নৃত্য একাডেমী রামু, সৃজন সংগীত ভূবন কক্সবাজার এবং রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। ৩০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এ মেলা ৫ জানুয়ারি শেষ হবে।