মো: আমান উল্লাহ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট :
রাত প্রায় ১১ টা বাজে, কিন্তু পযটননগরীর প্রধান সড়কে বিলকিস মাকেট থেকে বামিজ মাকেট পয়েন্টে পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজট।
অনেকক্ষণ রিকসায় অপেক্ষা করে অনেকেই নেমে পায়ে হেটে রওয়ানা দিলেন বড়বাজার সড়কের দিকে। আবার কেউ কেউ পরিবার সদলবলে ছুটলেন শহরের পানবাজার সড়কের দিকেই।
শুক্রবার রাতে পযটননগরী কক্সবাজার শহরে দেখা যায় এই দৃশ্য।
বড়বাজার আবু সেন্টারের দিকে স্ত্রীকে নিয়ে হাটা দেওয়া মো: নাছির উদ্দিন বলেন, দিনে অফিস থাকে বলে রাতে কেনাকাটার জন্য সময় বের করে নিয়েছি।
তিনি জানালেন, ইফতারের পর স্ত্রীকে নিয়ে কেনাকাটা করতে মাকেটে এসেছি। আরো কিছু কেনাকাটার জন্য আরো কিছু কেনাকাটার জন্য বাজারে ঘাটার কোরালরিফ প্লাজায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু রাস্তায় যে জ্যাম লেগেছে, তাতে মনে হয় আর যাওয়া সম্ভব হবে না।
পযটন নগরী কক্সবাজারে দীর্ঘদিন ধরেই যেকোনো উৎসব-পার্বণে রাতে চেয়ে দিনের বেলায় জমজমাট থাকতো। এখন রীত পাল্টেছে। দিনের চেয়ে রাতের বেলা বিপণি বিতানগুলো বেশি জমজমাট থাকে; এবার ব্যতিক্রম হচ্ছে।
প্রতিদিন ইফতার শেষে ক্রেতারা ভিড় করছেন প্রধানসড়ক ও বিভিন্ন বিপনী বিতানগুলোর অভিজাত ফ্যাশন হাউজের শো-রুমে।
এছাড়া নগরীর সীকুইন মাকেট, হাজেরা শপিং সেন্টার, কৃষি অফিস রোডের আপন টাওয়ার, শমা টাওয়ার, হকার মাকেটসহ আরো বেশ কিছু বিপণি বিতান ও শো-রুমে ক্রেতারা ভিড় করছেন।
দিনে কর্মব্যস্ততার কারণে ব্যস্ত থাকেন সবাই। ফলে রাত হলেই বেরিয়ে পড়েন কেনাকাটায়। এতে করে গত কিছুদিন ধরে দিনের চেয়ে রাতেই জমজমাট বিপণি বিতান।
নগরীর পানবাজার রোডস্থ ফিরোজা শপিং কমপ্লেক্সের দক্ষিণ গলির অন্যতম ফ্যাশন হাউস এ্যঞ্জেল কালেকশন যান পরিচিত মুখ শাকিল দম্পতি।
শাকিল বলেন, দিনে কম রাতে বেশি- এটাই আসলে এখন কক্সবাজারের রীতি।
ঈদের ব্যবসা প্রসঙ্গে এ্যঞ্জেল কালেকশনের এর মালিক বলেন, আস্তে আস্তে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। আমাদের আসলে নির্ধারিত একটি ক্রেতা শ্রেণি আছে, যারা ইতিমধ্যে আসতে শুরু করেছেন।
তার শো-রুমে কসমেটিকস, জুয়েলারি থেকে শুরু করে কিডস পোষাকই দেশি বলে উল্লেখ করে এই মালিক।
আনোয়ার দম্পত্তি বলেন, কক্সবাজার শহরের মানুষ আগে দিনেই কেনাকাটা সেরে নিতেন। এখন শহুরে মানুষ রাতের বেলা কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এজন্য ব্যবসায়ীরাও দোকানপাট গভীর রাত পর্যন্ত খোলা রাখেন।
সরজমিনে বিভিন্ন শো-রুমে ঘুরে দেখা গেছে একই পরিস্থিতি। সবখাটে ক্রেতাদের ভিড় ।
আবু সেন্টারের ব্যবসায়ি মহি উদ্দিন বলেন, এবার শুরু থেকেই ঈদের বাজারে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ব্যবসায়ও ভালো হচ্ছে। তাদের শো-রুমে নিত্যনতুন পোষাকের স্টকও বেশি বলে জানালেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদের সময় বাড়তি মুনাফার কোনো সুযোগ নেই। আমরা নিয়মিত যে হারে লাভ করি, ঈদের বা অন্য যেকোনো সময় একই হারে মুনাফা ধরেই পোষাক বিক্রি করা হয়।