রামুর গর্জনিয়ার মিয়াজির পাড়ার এক বসতবাড়ি থেকে গত শনিবার রাত সোয়া নয়টায় সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিনামুল্যে বিতরণের জন্য গর্জনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণীর বিপুল পরিমান পাঠ্যপুস্তক উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিদের্শক্রমে রোববার ৭ ফেব্রুয়ারী সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একাধিক ব্যক্তির বক্তব্য নিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার মোহাম্মদ তৈয়ব। এর আগে স্থানীয় ফকির আহমদের বাড়ি থেকে ৭ বস্তার অধিক পাঠ্যপুস্তক উদ্ধার করে জিম্মায় রেখেছেন গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী। যাছাই-বাছাই করে দেখা গেছে, এসব বই গর্জনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ২০১০-২০১৩ সালের বিভিন্ন শ্রেণীর। পুরাতর সালের হলেও বই একেবারে নতুন।
এদিকে ফকির আহমদ জানিয়েছেন, সরকারী বই গুলো গর্জনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে কেজি দরে ক্রয় করে শনিবার সন্ধ্যায় ভ্যান গাড়িতে করে এক ফেরিওয়ালা নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে গাড়িটি নষ্ট হয়ে গেলে ওই ফেরিওয়ালা সকালে নিয়ে যাবে বলে বই গুলো তার বাড়িতে রেখেছেন।
মুঠোফোনে গর্জনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অফিস সহকারী মাওলানা মোহাম্মদ আয়ুব জানিয়েছেন, বই বিক্রীর বিষয়ে তিনি অবগত নয়। পাশাপাশি মাদ্রাসা থেকে বই অন্যত্র সরানোর বিষয়েও তিনি জানেন না।
জানতে চাইলে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিনা কাজী বলেন, সরকারী বই অন্যত্র আছে এ ধরণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সরকারী বই গুলো নিয়ম অনুযায়ী জেলায় নিয়ে গিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এ ঘটনা তদন্ত করছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাকে (ইউএনও) একটি প্রতিবেদন দিবেন। বই বিক্রীর অভিযোগ প্রমানিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।