রামুতে বন বিভাগের জমি দখল করে চলছে স্থাপনা নির্মাণ
ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
আপডেট সময়
শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
২৫৮
বার পড়া হয়েছে
রামুতে মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী বন বিভাগের বিপুল জমি দখল করে স্থাপনা তৈরী করা হচ্ছে। একটি প্রভাবশালী মহল বন বিভাগের এসব জমি বিক্রি করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে পুরো এলাকায় তোলপাড়া শুরু হলেও বন বিভাগের রহস্যজনক নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় জনতা।
উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি চা বাগান ও পাহাড়িয়াপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে বন বিভাগের মূল্যবান এসব জমি জবর-দখলের পাশাপাশি এখানে থাকা বিপুল গাছও কেটে সাবাড় করেছে দখলবাজরা। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মহাসড়কের পাশে বিপুল এলাকাজুড়ে চলছে বন বিভাগের গাছপালা নিধনের দৃশ্য। গাছ কেটে সেই জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ৭/৮টি বসত বাড়ি। এরমধ্যে কয়েকটি বাড়ির কাজ এখনো অসমাপ্ত দেখা গেছে। সেখানেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলো শ্রমিকরা। আবার একটি বাড়ি তৈরীর পাশাপাশি বাড়িটির সামনে টিউবওয়েল স্থাপনের দৃশ্যও দেখা গেছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই এলাকার বাসিন্দা মমতাজুল আলম চৌধুরী বন বিভাগের ২ একর জমি বিক্রি করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব জমি মমতাজুল আলম চৌধুরী ও তার কর্মচারী শাহ আলম ৮জনকে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে বিক্রিত এসব জমিতে দোকান, টিনের বাড়ি সহ ৮টি স্থাপনা রয়েছে। চলছে আরো স্থাপনা তৈরীর কাজ।
জানা গেছে, ইতিপূর্বে বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় এলাকার প্রভাবশালী এসব ভূমিদস্যু আরো অসংখ্য ব্যক্তিকে বন বিভাগের জমি বিক্রি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবু হান্নান সরকার বন বিভাগের বিপুল জমি জবর দখলের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় মমতাজুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট কৌশলে এসব জমি লোকজনকে বিক্রি করে আসছে। সম্প্রতি এখানে কয়েকটি স্থাপনা নির্মানের খবর পেয়েছি। অতিসত্বর অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মমতাজুল আলম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
স্থানীয়দের মতে এভাবে একের পর এক সরকারি বন ভূমি বেদখল হতে থাকলে ভবিষ্যতে বন বলতে কিছুই থাকবে না। তাই অতিসত্বর এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি মূল্যবান বনভূমি দখল করে জড়িত ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সহ বন বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সর্বস্তুরের মানুষ।