রামু উপজেলায় বাঁকখালী নদীর উপর চাকমারকুল কলঘর বাজার-রাজারকুল ও দক্ষিণ মিঠাছড়িতে জেলার বৃহত্তম সেতু ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ১৪২৩বঙ্গাদ্ধের প্রথম দিনেই আলহাজ্ব ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী সেতুটির আনুষ্ঠানিক ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে ওই অঞ্চলের অর্ধলক্ষ মানুষের প্রাণের দাবী পুরণ করেন রামু-কক্সবাজারের উন্নয়নের অগ্রদূত আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের শ্রেষ্ঠ বক্তা সাংসদ কমল বলেন, সেতুটির নির্মান হতে যাওয়ায় কক্সবাজার-রামুর উন্নয়নে যোগ হতে চলেছে নতুন মাত্রা। সীমান্ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উম্মোচিত হতে চলেছে নতুন সম্ভাবনার দ্বার। এটি নির্মিত হওয়ার পর এ অঞ্চলের মানুষেরা উৎপাদিত শস্য সহজেই রপ্তানি পারবে। ফলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটবে। মানুষ সহজেই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা পাবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে।
তিনি বলেন, রামু-কক্সবাজারের উন্নয়নে প্র্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে রামু-কক্সবাজারের প্রত্যেক ঘরে ঘরে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দেওয়া হবে-যোগ করেন। আগামী দিনে নির্বাচনের সময় দেওয়া সকল প্রতিশ্র“তি পুরণ করা হবে। এটিও আমার একটি নির্বাচনী প্রতিশ্র“তি- যোগ করেন আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল।
সেতুটি উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম। এতে বক্তব্য ও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার এল জি ই ডি’র সিনিয়র প্রকৌশলী হাসান আলী, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা জাফর আলম চৌধুরী, রফিক আহমদ চৌধুরী, চাকমারকুলের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন কোম্পানী, আওয়ামীলীগ নেতা মাষ্টার ফরিদ আহমদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুসরাত জাহান মুন্নি, চাকমারকুলের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বজিৎ দত্ত, কচ্ছপিয়ার চেয়ারম্যান নুরুল আমিন কোম্পানী, গর্জনিয়া সাবেক চেয়ারম্যান ছৈয়দ নজরুল ইসলাম, ফতেখাঁরকুলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, চাকমারকুলের নুরুল হক কোম্পানী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়–য়া, সৈনিকলীগের সভাপতি ইউনুচ খান, চাকমারকুলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নিয়ামত উল্লাহ প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক, ফতেখাঁরকুলের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী তপন মল্লিক।
জানা গেছে, সেতু নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৮২ হাজার ১৭৪ টাকা । বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজার। নির্মাণে কক্সবাজারের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল। সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৪০০ মিটার, প্রস্থ হবে ৭.৩ মিটার।