রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে ২৩ বছর আগের করা রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে বাংলাদেশের সংবিধানে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল থাকলো।
সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের হাইকোর্টের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ ২৩ বছর পর এই আবেদন শুনানির জন্য উত্থাপিত হলে শুনানির জন্য ২৭ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত। পরে তা পরিবর্তন করে ২৮ মার্চ করা হয়।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন নির্ধারিত হওয়ার পর থেকে হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী দলগুলো এর বিরোধিতা করে আসছে। এরপর থেকেই একটু একটু করে সংগঠিত হতে শুরু করে জামায়াত, হেফাজতে ইসলামসহ আরও বেশকিছু ইসলামী সংগঠন। তাদের দাবি, রাষ্ট্রধর্ম পরিবর্তন করা যাবে না। এ ধরনের কোনও রিট শুনানিরও প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।
্১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়, যা কার্যকর হয় ঐ বছরেরই ১৬ ডিসেম্বর থেকে৷ সেই সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার চারটি মূলনীতি ছিল – ১. জাতীয়তাবাদ, ২. গণতন্ত্র, ৩. সমাজতন্ত্র এবং ৪. ধর্মনিরপেক্ষতা৷
তারপর ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের পরিবর্তন করে দেন তখনকার স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ৷ তাঁর শাসনামলে সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ সংবিধানের ঐ অষ্টম সংশোধনীতে বলা হয়, ‘‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে৷’