জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক উখিয়া উপজেলার রতœাাপালং ইউনিয়নের একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ২য় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক শমসের আলম চৌধুরীর জানাযায় শোকার্ত জনতার ঢল নেমেছিল গতকাল বুধবার। আসরের নামাজের পরপর জানাযা হওয়ার কথা থাকলেও শোকার্ত মানুষের কারনে বিকাল ৫ টায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাযা সম্পন্ন হয়। জানাযায় অংশ নেন উখিয়া টেকনাফের এমপি আবদুর রহমান বদি, রামু-কক্সবাজারের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়ার এমপি আশেকুল্লাহ রফিক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন, কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক রেজাউল করিম, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ, জেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, উখিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার জাহান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি কাজী রফিক উদ্দিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহামুদুল হক চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুর রহমান, দৈনিক ইনানী পত্রিকার সম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, কক্সবাজার নিউজ ডটকমের সম্পাদক অধ্যাপক আকতার চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, দৈনিক ইনানী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক রাসেল চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহমদ জয়, সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদ, রত্নাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন কন্ট্রাকট্রার, বর্তমান চেয়ারমান নুরুল কবির চৌধুরী, জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোছাইন চৌধুরী, হলদিয়ার ইউপি চেয়াম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ, রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মাহামুদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি ছৈয়দ মুহাম্মদ নোমান, । উপস্থিত শোকাহত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে মরহুমের পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা শমসের আলম চৌধুরীর কনিষ্ট সন্তান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, কবি আদিল উদ্দিন চৌধুরী। জানাযায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিএনপি, জাতীয়পাটির অসংখ্য নেতাকর্মী মরহুমের জানাযায় অংশ গ্রহন করেন। জানাযায় ইমামতি করেন পীরে কামেল আলীম উদ্দিন ফকির সাহেব। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামস্থ সার্জিস্কোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২.৪০ মিনিটের সময় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন এই মুক্তিযোদ্ধা।
উল্লেখ্য যে, সে ১৯২০ সালে উখিয়ার উপজেলার রতœাপালং ইউনিয়নের মাতাব্বরপাড়া এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা-মরহুম হাকিম আলী চৌধুরী, মাতা-আমেনা খাতুন। রতœাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার এমই স্কুল হতে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়ে তৎকালীন বৃটিশ আমলে কক্সবাজারস্থ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এনট্রান্স পাশ(বর্তমান এসএসসি) করেন। তখনকার সময়ে জেলায় আর কোন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্টান না থাকায় তিনি বেশিদুর এগোতে পারেনি।বৃটিশ শাসনামলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি চৌকস সামরিক প্রশিক্ষক এবং সিনগ্যালকোরে কর্মরত ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তিনি চাকুরী ছেড়ে দেয়। পাকিস্তান সরকারের আমলে সে বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬২ থেকে ১৯৮৮সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় তিনি রত্লাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। বিশেষ করে ১৯৭১সালে আগ মুহুর্ত থেকে সক্রিয় ভাবে মুক্তিযোদ্ধায় অংশ গ্রহন করে এক ইতিহাস রচয়িত করেন। ৬ ছেলে এবং ৩মেয়ের জনক তিনি।