বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে টাকা লোপাটের সঙ্গে জড়িত ২০ বিদেশি নাগরিককে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শাহ আলম।
মালিবাগে সোমবার সিআইডির সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারণার সঙ্গে ছয়জনকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানানোর জন্য এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছিল।
টাকা চুরি নিয়ে তদন্তকারী সিআইডির দুটি দল সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইন থেকে ফিরে আসার পরই ওই ২০ বিদেশি নাগরিককে শনাক্ত করার বিষয়টি জানা গেছে।
রিজার্ভ থেকে টাকা চুরির সঙ্গে বিদেশি ছাড়া বাংলাদেশি কেউ জড়িত ছিলেন কিনা- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, রিজার্ভ সুরক্ষার ক্ষেত্রে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা এ নিয়ে গাফলতি করেছেন নাকি উদাসীন ছিলেন বা কোনও অপরাধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেো হচ্ছে।
চুরি যাওয়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা লেনদেন করা হয় সে সংক্রান্ত প্রত্যেক দেশেই আইন আছে। সে অনুযায়ী তাদের জরিমানা করে টাকা আনা সম্ভব।
তবে রিজার্ভের নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেননি, এটা তারা চিহ্নিত করেছেন বলে জানান ডিআইজি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে চুরি যাওয়া টাকা গেছে ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, চীন ও জাপানে।
বাংলাদেশিদের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া রিজার্ভ লুট সম্ভব কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তবে টাকা চুরির সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।