বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হচ্ছে আরও নয়টি জেলা। এই নয়টি জেলার মধ্যে পর্যটন জেলা কক্সবাজারও রয়েছে।
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
রেল নেটওয়ার্কের আসতে যাওয়া ওই নয়টি জেলা হলো কক্সবাজার, বান্দরবান, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও মেহেরপুর।
এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন নয়টিসহ মোট ৫৩ জেলা রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ওই জেলাগুলোকে পর্যায়ক্রমে রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত করা হবে। এরই মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে রামু পর্যন্ত এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মিত হবে। এর মধ্য দিয়ে বান্দরবান ও কক্সবাজারকে রেলওয়ের নেটওয়ার্কে যুক্ত করা হবে।
ওই প্রকল্পটি এরই মধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন পেয়েছে। প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কাজও শেষ পর্যায়ে। এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় দুই পর্যায়ে ১৬৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হবে। প্রথম পর্যায়ে ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে মাওয়া পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা- যশোর হয়ে নড়াইল পর্যন্ত ৮৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, ওই ১৬৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে চীনের সঙ্গে সরকারের চুক্তি হয়েছে। ওই চুক্তির আওতায় চীন রেলওয়ে প্রকৌশল কোম্পানি শিগগিরই প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু করবে। কাজ শেষ হওয়ার পর মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও নড়াইল জেলায় রেল চলবে।
মুজিবুল হক বলেন, ‘গোপালগঞ্জকে রেলওয়ের আওতায় আনতে কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়ার মধ্যে ৪১ কিলোমিটার রেলপথ হবে। এরই মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। বাগেরহাটকে রেলে যুক্ত করার জন্য খুলনা-মংলা রুটে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।’
সূত্র মতে, কুষ্টিয়া-মেহেরপুর রেলপথের কাজও একনেকের অনুমোদন পেয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষে রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে মেহেরপুর।
এসব বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘সব প্রকল্প আগামী তিন থেকে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে শেষ হবে।’