ইউরোপের রোমানিয়ায় বাংলাদেশের ১৬তম দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুর হয়ে গেছে। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা গত দুই বছরে ইউরোপের অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড ও ডেনমার্কে তিনটি দূতাবাস খুলেছি। আশা করছি, এ বছরের শেষদিকে রোমানিয়াতে দূতাবাস খুলতে সক্ষম হব। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এরফলে পূর্ব ইউরোপে আমাদের অবস্থান সংহত হবে।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের বেশিরভাগ দূতাবাস পশ্চিম ইউরোপে খোলা হয়েছে। এর ফলে পূর্ব ইউরোপে বাংলাদেশের অবস্থান কিছুটা দুর্বল থেকে গেছে।
আমরা গত বছর পোল্যান্ডে আবার দূতাবাস খুলেছি এবং এটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গ বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও বেগবান করবে এ দূতাবাস।
গত কছর থেকে সরকার এশিয়া-নীতি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ইউরোপে তাদের অবস্থান সংহত করার প্রয়াস নেয়।
২০১৩ ও ২০১৪ গোটা সময়টি ইউরোপ বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সুশাসন ও স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার উদ্যোগ নেয়। ইউরোপও তাদের গণতন্ত্রের সংহতকরণ ও সুশাসনের মতো আদর্শ মতবাদকে কম গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা দরকার এ বাস্তবতা মেনে নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে।
বাংলাদেশ ও ইউরোপ ২০১৪ সালে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার ওপর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য করেছে, এটি বাড়ছে।
ইউরোপের বৃহৎ রাষ্ট্র ফ্রান্স বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরির কাজ পেয়েছে, রাশিয়া ১ লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ পায় ও জার্মানির সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এ সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠান বিমানবন্দর নিরাপত্তার মতো একটি স্পর্শকাতর প্রকল্পের কাজ পায়।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ২০১৫ তে নেদারল্যান্ডস সফর করেন এবং পানি বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি পায়রা সমুদ্র বন্দর নিয়ে ভালো অগ্রগতি হয়। সরকার গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে কোনো ভূ-রাজনৈতিক ঝামেলা চায় না। এ বিষয়ে রাজনৈতিকভাবে কম সংবেদনশীল ইউরোপের কোনও দেশকে দিয়ে করাতে আগ্রহী।