স্বাধীনতা পরবর্তী যে কোন সময়ের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে বর্তমানে লবণের সর্বোচ্চ মূল্যে লবণ শিল্পে ফিরে এসছে চাঙ্গা ভাব। খুচরা বাজারের সাথে মাঠ পর্যায়ের লবণের মূল্যের ব্যবধান কমে আসায় এবং লবণ আমদানি বন্ধ থাকায় লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হয়েছে বলে জানালেন চাষীরা। একই সাথে মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ব কমে আসায় লবণ শিল্পে ফিরে এসেছে সোনালী দিন। মাঠ পর্যায়ে প্রতিমণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা দরে।
ব্যাপক উৎসাহ নিয়েই লবণ উৎপাদনে নেমে পড়েছে চাষীরা। রেকর্ড পরিমান লবণের মূল্যে লবণ শিল্প নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন চাষীরা।
মহেমখালী-কুতুবদিয়ার সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, লবণ আমদানির সিদ্ধান্ত স্থগিত করতে শিল্পমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে তিনি একাধীক বৈঠক করেছেন। এ ছাড়া জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লবণ চাষীদের প্রতি ভালবাসা লবণ আমদানির সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়েছে। এতে লবণ চাষীদের উপর আরো দায়িত্ব বেড়েছে দাবী করে তিনি বলেন, লবণ উৎপাদন আরো জোরদার করতে হবে চাষীদের। দেশে যাতে কোন লবণ ঘাটতি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে চাষীদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, জাতির জনকের কন্যার উপর সকলের আস্থা রয়েছে। তিনি দেশকে ভালবাসেন, চাষীদের ভালবাসেন। তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের লবণ শিল্প বাচঁলে কক্সবাজারের ২৩ লাখ মানুষ বাঁচবে। লবণ কক্সবাজার জেলার অর্থনীতির অন্যতম চাবিকাঠি। লবণের কোন ঘাটতি হবে না দাবী করে তিনি বলেন বিপুল পরিমান লবণ এখনো অবিক্রিত আছে। আমরা নিজেরা লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে এই স্বয়ংসম্পূর্ণ খাতটি টিকিয়ে রাখতে চাই।
কক্সবাজার বিসিক’র উপ-ব্যবস্থাপক আবসার উদ্দিন জানান, লবণ আমদানির প্রয়োজন নেই তা বিসিক’র পক্ষ থেকে বার বার জানানো হয়েছে। বিসিক কোন ভাবেই লবণ আমদানির পক্ষে নয়। লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার পক্ষে বিসিক। এতে আশেক উল্লাহ রফিক এমপি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে বিধায় লবণ আমদানি স্থগিত হয়েছে। তবে সবাইকে বুঝতে হবে লবণ ঘাটতি হলে আমদানির বিকল্প নেই। তাই লবণ উৎপাদনে চাষীদের আরো গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখা প্রয়োজন।
মহেশখালীর মাতারবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী রুহুল জানিয়েছেন জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাষীদের উপর আস্থা রেখে লবণ আমদানির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। আশেক উল্লাহ রফিক এমপি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বিধায় লবণ শিল্পে সফলতা এসেছে। লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হস্তক্ষেপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এতে লবণের কোন ঘাটতি হবে না বলে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন আশেক উল্লাহ রফিক এমপি। যার ফলে চাষীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে রেকর্ড পরিমান মূল্যে লবণ বিক্রি হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে।
মহেশখালীর হোয়ানকের শান্তি লাল নন্দী জানিয়েছেন নেতৃত্ব দায়িত্বশীল হওয়ায় আমরা সুফল পেয়েছি। লবণ আমদানি স্থগিত হওয়ায় জেলার অর্থনীতিতে প্রাণের সঞ্চার হবে। সচল হয়ে উঠবে বন্ধ হয়ে যাওয়া লবণ মিলগুলো।
বাংলাদেশ লবণ ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক সাজেদুল করিম জানিয়েছেন, লবণ আমদানি বন্ধ করতে এমন কোন বিভাগ নাই স্থানীয় সাংসদ যোগাযোগ করেননি। বর্তমানে এর সুফল পাচ্ছেন চাষীরা। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে লবণের মূল্যের সাথে খুচরা বাজারের মূল্যের ব্যবধান কমে এসেছে। বিগত সময়ে মধ্যসত্ত্বভোগিরা লবণের মূল্যের সিংহভাগ টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন তা বন্ধ হয়েছে। আমরা চাই লবণ আমদানি স্থায়ীভাবে বন্ধ হউক।