বান্দরবানের লামা উপজেলায় মোবাইল সেট চুরির ঘটনায় সন্দেহ করায় আবদুর শুক্কুর (২৬) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লামা সদর ইউনিয়নের হাসপাতাল পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুর শুক্কুর হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ কবিরের ছেলে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় এক নারীসহ দুইজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও ¯’ানীয় সূত্র জানান, বুধবার বিকালে ঘর থেকে দ্ইুটি মোবাইল সেট চুরি হলে পাশের বাড়ীর তাজুল ইসলামের মেয়ে সীমা আক্তারকে সন্দেহ করেন আবদুর শুক্কুর। এ নিয়ে সীমা আক্তারের মা রীনা আক্তারের সঙ্গে আবদুর শুক্কুরের কথাকাটাকাটি হয়। পরে রীনা আক্তার (৩৬) কৌশলে মোবাইল সেট শুক্কুরের ঘরে রেখে, কেন মোবাইল সেট চুরির ঘটনায় তার মেয়েকে সন্দেহ করা হলো; এ নিয়ে দ্বিতীয় দফা বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝগড়া বাঁধে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে রীনা আক্তার, সীমা আক্তার এবং রীমা আক্তার সংঘবদ্ধ হয়ে আবদুর শুক্কুরকে লোহার রড় ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। খরব পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রীনা আক্তারের স্বামী তাজুল ইসলাম ও তার মেয়ে সীমা আক্তারকে আটক করে। ঘটনার পর অপর ঘাতক রীনা আক্তার ও তার মেয়ে রীমা আক্তার পালিয়ে যায় বলে এলাকাবাসী সূত্র জানিয়েছেন।
নিহত আবদুর শুক্কুরের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার জানান, গত দুই সপ্তাহ আগে আবদুর শুক্কুরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। খুব সুখেই কাটছিল সংসার। বুধবার বিকালে পাশের বাড়ীর তাজুল ইসলামের মেয়ে সীমা আক্তার তাদের ঘরে ঢুকে দুটি মোবাইল সেট চুরি করে নিয়ে যায়। আবদুর শুক্কুর চুরির ঘটনায় সীমা আক্তারকে সন্দেহ করেন। এ নিয়ে রীনা আক্তারের সাথে আবদুর শুক্কুরের মধ্যে ওই দিন বেশ কথাকাটাকাটিও হয়। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে রীনা আক্তার, সীমা আক্তার ও রীমা আক্তার পূণরায় সংঘবদ্ধ হয়ে আবদুর শুক্কুরকে পিটিয়ে হত্যা করে।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আবদুর শুক্কুর হত্যার ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।