মহেশখালী উপজেলা ৫ ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসাইন এর সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে ‘শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান’ সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসাইন।
এর পর তিনি নিজেই নির্বাচিত চেয়ারম্যান শপথ পড়ান।
শপথ গ্রহণকারী নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন- মাতারবাড়ির মাহমুদ উল্লাহ, ধলঘাটার কামরুল হাসান, হোয়ানকের মোস্তফা কামাল, কুতুবজোমের মোশারফ হোসেন খোকন ও ছোট মহেশখালীর জায়েদ বিন আলী।
পরে এক ইউনিয়নের নয়জন পুরুষ ও তিনজন মহিলাসহ মোট ৬০ জন সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল কালাম।
অনুষ্ঠানে পেরোলে মুক্তি পেয়ে শপথ নেন হোয়ানকের ১নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার মাস্টার আবদুল করিম।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এএফএম আলা উদ্দীন খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আনোয়ারুল নাসের, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালামসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শপথ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘আপনারদের জাতির গুরু দায়িত্ব অর্পিত হলো। কোনভাবেই এই দায়িত্বের অবহেলা করা যাবে না। আপনাদেরকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এসময় নির্বাচিতরাও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করার কথা ব্যক্ত করেন। ৫ ইউপির মধ্যে ৪ ইউপির নির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের। মাতারবাড়ির চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন। তবে, মুজিব কোট পরে ৫ জন চেয়ারম্যানই শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এছাড়াও কয়েকজন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেম্বারও মুজিব কোট পরে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ মহেশখালীর ৬ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সহিংসতার কারণে বড়মহেশখালীর মগরিয়াকাটা কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়। ওই কেন্দ্রে পুন:নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।